কেরানীগঞ্জে রাসেল হত্যা: গ্রেফতার ১২ জনের মুক্তি চেয়ে মানববন্ধন

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মারধর ও নির্যাতনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সাইফুল ইসলাম রাসেল। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আফতাব উদ্দিন রাব্বিকে প্রধান আসামিসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। এ মামলায় গ্রেফতার রাব্বিসহ ১২ জনের মুক্তি চেয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্ত্বরে ভুক্তভোগী পরিবারের ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়। এসময় তারা নিহত রাসেলকে চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে রাব্বিদের নির্দোষ দাবি করেন। একই সঙ্গে সব আসামির নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে স্লোগানও দেন। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত স্মৃতি নামের এক নারী বলেন, ‘এতদিন রাসেলের ভয়তে আমরা কিছু বলতে পারিনি। রাসেল আমাদের হয়রানি ও নির্যাতন করেছে। তিনি গণপিটুনিতে মারা গেছেন, তার কারণে কেন ভালো লোক ফাঁসবে? আমরা রাব্বির মুক্তি চাই।’
আন্না আকতার নামের আরেকজন বলেন, ‘রাসেল গত ১৫ বছর আমাদের এলাকায় এমন কোনো খারাপ কাজ নেই যে সে করেনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদাবাজি করেছে আর ভাল মানুষদের নাম বলেছে। জনগণ পিটিয়ে তাকে মারছে। কিন্তু ভালো মানুষদের হত্যাকাণ্ডে জড়ানো হচ্ছে।’
এর আগে, ১৭ জানুয়ারি রাসেল হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ১২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের মধ্যে আসামি আলমগীর, মো. আমির হোসেন ও মো. সজীব স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এছাড়া এ মামলার প্রধান আসামি আলতাফ উদ্দিন রাব্বীসহ নয় আসামির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্য আসামির হলেন-শিপন, দেলোয়ার দেলু, মো. রনি, অনিক হাসান হিরা, ফিরোজ, রাজীব আহমেদ, মো. মাহফুজুর রহমান ও মো. রতন শেখ।
জেএ/এমআইএইচএস/জেআইএম