শীতের আগমনে জমে উঠেছে ঢাকার পাইকারি বাজার

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১০ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকা ট্রেড সেন্টার মার্কেট, ছবি তুলেছেন মাহবুব আলম

ঢাকায় পুরোপুরি শীতের আগমন না হলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের আবহ চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শীতের পোশাকের চাহিদা ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে। ঢাকার বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা শীতের পোশাক কিনতে ঢাকায় আসা শুরু করেছেন। এতে রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোতে ক্রেতার আনাগোনা নতুন করে জমে উঠেছে।

শীতের আগমনে জমে উঠেছে ঢাকার পাইকারি বাজার

বিশেষ করে গুলিস্তান এলাকায় অবস্থিত ঢাকা ট্রেড সেন্টার মার্কেটের পাইকারি শীতের জামাকাপড়ের মার্কেটগুলো এখন তুলনামূলকভাবে বেশি ব্যস্ত। এখানে শীতের সোয়েটার, জ্যাকেট, কার্ডিগান, মাফলার, কম্বলসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক পাইকারি দামে ক্রেতাদের জন্য রাখা হয়েছে। ঢাকার বাইরের ব্যবসায়ীরা প্রধানত এসব পণ্য কিনে নিজ নিজ শহরে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।

শীতের আগমনে জমে উঠেছে ঢাকার পাইকারি বাজার

বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শীত এখনও পুরো ঢাকায় আসেনি, কিন্তু বাইরে থেকে ক্রেতাদের আগমন বৃদ্ধি পাওয়ায় পাইকারি বিক্রি এরই মধ্যে বেড়েছে। প্রতিদিন কয়েকশো ক্রেতা পাইকারি বাজারে আসছেন। তারা আশা করছেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে শীতের প্রকৃত আগমন শুরু হলে বিক্রি আরও বাড়বে।

শীতের আগমনে জমে উঠেছে ঢাকার পাইকারি বাজার

ক্রেতাদের সুবিধার জন্য পাইকারি দোকানগুলোতে নতুন কালেকশন সাজানো হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের সোয়েটার, ওয়ার্ক ওয়ার্মার জ্যাকেট, হাত মোজা, স্কার্ফ এবং কম্বল বিক্রি বেশি। ঢাকার বাইরের ব্যবসায়ীরা এসব পণ্য সরাসরি কিনে নিয়ে যাওয়ার কারণে বাজারে সরবরাহও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শীতের আগমনে জমে উঠেছে ঢাকার পাইকারি বাজার

ক্রেতারা সোয়েটার ও জ্যাকেট বাছাই করছেন, দোকানদাররা নতুন স্টক সাজাচ্ছেন। এই দৃশ্য দেখেই বোঝা যাচ্ছে, শীতের মরসুমে ঢাকা এখনও পাইকারি বাজারের মূল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে।

শীতের আগমনে জমে উঠেছে ঢাকার পাইকারি বাজার

শীতের পোশাকের চাহিদা শুধু ঢাকার মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা ঢাকাকে কেন্দ্র বানিয়ে শীতের বাজারকে আরও গতিশীল করে তুলছেন।

জেএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।