হামলাকারী ব্যক্তি কনস্টেবল মিজানুর রহমান, রাশেদের দাবি

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২৫
রাজধানীর বিজয়নগরে শুক্রবার রাতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা সম্রাটকে বেধড়ক পেটান মেরুন রঙের টিশার্ট পরা এই ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর শুক্রবার রাতে হামলা চালান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় মেরুন রঙের টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তিও উপর্যুপরি হামলা চালান। এমন একটি ভিডিও রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সবাই জানতে চান কে এই ব্যক্তি?

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন শনিবার (৩০ আগস্ট) তার ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, ‘লাল শার্ট পরিহিত ব্যক্তি পুলিশের কনস্টেবল। তার নাম মিজানুর রহমান। বিপি নং-৯৭১৭১৯৭২৪৩। সে ছাত্রনেতা সম্রাটের ওপর হামলা করেছে।’

আরও পড়ুন

একই তথ্য জানিয়েছেন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।

এদিকে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত মেরুন রঙের টি-শার্ট পরা যুবক ডিবির কেউ নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।

শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘উনি আমাদের ডিবির কেউ না।’

হামলাকারী ব্যক্তি কনস্টেবল মিজানুর রহমান, রাশেদের দাবি

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।

বিকেল ৩টা নাগাদ তাকে আবার ফোন দেওয়া হলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন

শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত হওয়ায় নুরকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।

শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) ডা. মোস্তাক আহমেদ বলেন, আঘাতের কারণে নুরুল হক নুরের নাক ও চোয়ালের হাড় ভেঙে গেছে এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

এছাড়া তার চোখে রক্তজমাট আছে। হাসপাতালের নিউরো সার্জারি, নাক-কান-গলা বিভাগ, আইসিইউ বিভাগের প্রধানসহ আরও কয়েক বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নুরের আরেকটি সিটি স্ক্যান করে দেখা হবে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের অবস্থা বেড়েছে নাকি কমেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নুরের চিকিৎসায় এরই মধ্যে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ড আজ আলোচনায় বসবে। নুরের জ্ঞান ফিরেছে, মাথায় ও নাকে আঘাতের চিহ্ন আছে। ৪৮ ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা যাচ্ছে না।

এমএমএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।