শাহজালাল বিমানবন্দর
‘কার্গো ভিলেজে পণ্য আমদানি প্রক্রিয়া এখনো স্বাভাবিক হয়নি’
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পর এখনো আমদানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়নি। বিভিন্ন দেশ থেকে কার্গো পণ্য আমদানিতে অনানুষ্ঠানিকভাবে নিষেধ করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে পণ্যের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও মালামাল আনতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পুরো কমপ্লেক্স পুড়ে যায়। এখন এটি ব্যবহারের অনুপযোগী। এমন অবস্থায় আমদানি পণ্য বিমানবন্দরে রাখার মতো জায়গা নেই। এ কার্গো ভিলেজটির অবস্থান বিমানবন্দরের ৮ নম্বর ফটক সংলগ্ন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অগ্নিকাণ্ডের পর বিমানবন্দরের ৯ নম্বর ফটক এলাকায় কার্গো পণ্য আমদানির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তাদের জানায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। কিন্তু বাস্তবে সেখানে আমদানি পণ্য রাখার মতো তেমন জায়গা নেই। তাই গত চার-পাঁচ দিন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানি না করতে সংশ্লিষ্টদের অনানুষ্ঠানিকভাবে জানায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিমান শাহজালালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে কাজ করে। এমন অবস্থায় মালামাল আমদানি প্রক্রিয়া থমকে আছে।
দেশের বিভিন্ন গার্মেন্টেসের জন্য চীন থেকে কাপড়ের নমুনা সংগ্রহ করে মিরপুর ডিওএইচএসের বহ্নের টেক্সটাইল। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা রাসেল খন্দকার বুধবার (২২ অক্টোবর) জাগো নিউজকে বলেন, আমরা চীন থেকে গার্মেন্টেসের ডেভেলপমেন্ট নমুনা সংগ্রহ করি। চীনের বিভিন্ন কুরিয়ার প্রতিষ্ঠান এ কাজের সঙ্গে যুক্ত। শাহজালালে অগ্নিকাণ্ডের বেশ কিছুদিন আগে ৫টি সেম্পলের বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের কাপড় চীন থেকে আনা হয়। কিন্তু বিমানবন্দরে বিভিন্ন জটিলতায় তা সময়মতো বের করতে পারিনি। পরে গত শনিবারের আগুনে সব পুড়ে গেছে। কোনো পণ্য বা নমুনার আর খোঁজ পাইনি।
তিনি বলেন, এখন নতুন করে চীন থেকে একই ধরনের নমুনা অর্ডার করেছি। চীনের কুরিয়ারগুলো এসব মালামাল বাংলাদেশে পাঠাতে চাইছে। কিন্তু শাহজালাল বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এখনই আমদানি পণ্য দেশে আনতে অনানুষ্ঠানিকভাবে নিষেধ করছে বিমান। এ অচালবস্থা কত দিন চলছে জানি না।
যদিও মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেবিচকের সদর দপ্তরে সংস্থাটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেছেন, তারা আপাতত বিমানবন্দরের ৯ নম্বর ফটক এলাকায় আমদানি পণ্য রাখার জায়গা করেছেন। সেখান থেকে পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
এমএমএ/এমআইএইচএস/জিকেএস