সিটি নির্বাচন নিয়ে আবারও রনির স্ট্যাটাস
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে নিজের ফেসবুক পেইজে আবারও স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দক্ষিণের মেয়র পদপ্রার্থী গোলাম মওলা রনি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১১টা ৫ মিনিটে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে তিনি বলেন...
প্রসঙ্গ : ঢাকা সিটি নির্বাচন
দেশের চলমান হরতাল-অবরোধ এবং বিশৃঙ্খলার মধ্যে সরকার হঠাৎ করেই ঘোষণা দিল - খুব দ্রুত সিটি নির্বাচন হবে। সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশন বজ্রকঠিন স্বরে ঘোষণা দিল - নির্বাচন হবে! কোনো বিরোধী দল না এলেও নির্বাচন হবে। তারা দৃঢ়তার সঙ্গে আরও বলল - ঢাকা সিটি উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন একদিনেই হবে। ইতিপূর্বে চারটি করপোরেশনের নির্বাচন একই দিনে করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে তারা পুরো জাতিকে আশ্বস্ত করতে চাইল। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় ঢাকা উত্তরে তার দলের প্রার্থী হিসেবে একজন আলোচিত ব্যবসায়ীকে মনোনয়নের কথা বললেন। এর কয়েকদিন পর তিনি গণভবনে ডেকে ঢাকা দক্ষিণের জন্য প্রয়াত মেয়র হানিফের সন্তান সাঈদ খোকন এবং উত্তরের জন্য ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হককে মনোনয়ন দিলেন।
ঢাকায় নির্বাচন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এমন কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানলাম প্রধানমন্ত্রী যে কোনো মূল্যে খুবই দ্রুততার সঙ্গে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত করতে চান। আমিও ততোধিক দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, আসন্ন নির্বাচনে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচন করব। নিজের মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য আমি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিলাম। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা দেশ-বিদেশের প্রায় সব বাংলাদেশির কাছে পৌঁছে গেল। হাজার হাজার মানুষের লিখিত মন্তব্য এবং অসংখ্য মানুষের টেলিফোন আলাপের কারণে আমি সম্ভাব্য নির্বাচনটি সম্পর্কে রীতিমতো বিশেষজ্ঞ হতে লাগলাম। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলার আগে সংক্ষেপে বলে নিই, কেন আমি প্রার্থী হতে চাইলাম।
বহু বছর থেকে আমরা ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা। আত্মীয়স্বজনের বেশিরভাগই গ্রামগঞ্জের তুলনায় ঢাকাতে বসবাস করেন। ইচ্ছে ছিল ঢাকার ধানমন্ডি থেকে সংসদ নির্বাচন করার। কিন্তু পারিবারিক অনুরোধে নির্বাচন করতে গেলাম ফরিদপুর জেলার সদরপুরে অর্থাৎ আমার জন্মভূমিতে। ১/১১-এর প্রেক্ষাপট আমার ফরিদপুরে নির্বাচন করার সুযোগটি বন্ধ করে দিল। নতুন নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণে ফরিদপুর জেলার ৪টি আসনের মধ্যে একটি বাদ পড়ে এবং সেটি ছিল আমারটি। আমি বিকল্পের সন্ধানে চলে গেলাম পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা এবং দশমিনার সংসদীয় আসনে। ওই এলাকায় আমার কিশোরবেলার চারটি বছর অতিবাহিত হয়েছিল। বাবার আমলের পুরনো একটি বাড়ি ছিল এবং বৈবাহিক সূত্রে ছিল শ্বশুরবাড়ি। আমার নিয়তির প্রবল টানে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নবম সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেলাম এবং শত কোটি বাঁধা ডিঙিয়ে বরিশাল বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হলাম।
পাঁচটি বছর এমপিগিরি করেছি ইবাদতের মতো। বছরের বেশিরভাগ সময়ই থাকতাম এলাকায়। ফলে পরিবার, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং নিজের শরীরের প্রতি রীতিমতো জুলুম করেছি। আমি সব সময়ই চেয়েছিলাম ঢাকা বা ঢাকার কাছাকাছি কোনো একটি সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য। দশম সংসদ নির্বাচনপূর্ব সময়ে সৃষ্ট অরাজকতা, অশান্তি এবং একতরফা নির্বাচনের তোড়জোড় দেখে মনে হয়েছিল আমার উচিত কিছুদিনের জন্য বিরতি দিয়ে পুনরায় শুরু করা। গত এক বছরের ঘটনাবলি এবং বর্তমানের অস্থিতিশীলতার মধ্যে অন্যসব দেশবাসীর মতো আমিও বলতে পারছি না পরবর্তী সংসদ নির্বাচন কবে নাগাদ হবে! ঠিক এই সময়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ঘোষণায় আমার রাজনৈতিক সত্তার অনুভূতিগুলো আমাকে অনুপ্রাণিত করল এর সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার জন্য।
এবার প্রসঙ্গে আসি। ঢাকা সিটি নির্বাচন কি শেষ পর্যন্ত হবে নাকি অতীতের মতো বারবার পিছিয়ে যাবে। নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পর নির্বাচন বিষয়ে জনগণের আস্থা-আকাঙ্খা এবং বিশ্বাস-অবিশ্বাসের বিষয়গুলো পরিষ্কার হতে থাকে। জনগণ মনে করছে বর্তমান সরকার প্রথম থেকেই ঢাকাকে নিয়ে রাজনীতি করছে। ঢাকাকে দুই ভাগে বিভক্ত করার পেছনেও নাকি সরকারি দলের রাজনীতির দুর্বলতা নিহিত ছিল। সবাই বলছে - ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশনে প্রার্থী হওয়ার মতো যোগ্য লোক নাকি আওয়ামী লীগে নেই। কাজেই প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কাছে পরাজয়ের আশঙ্কা থেকেই সরকার ঢাকাকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। লোকজনের এত সব অভিযোগের বিপরীতে সরকারের পক্ষ থেকে এমন কিছু করা হয়নি বা বলা হয়নি যাতে জনগণ তাদের চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনতে পারে।
ঢাকা বিভক্ত হওয়ার পর থেকেই সবাই আশা করেছিল, এই বুঝি নির্বাচন এসে গেল কিংবা এখনই বোধহয় নির্বাচন হয়ে যাবে। এভাবে বহুদিন গেল, মাস পেরিয়ে বছর এলো | তারপর বছর পেরিয়ে অন্য বছর এলো - কিন্তু নির্বাচন এলো না। জনগণকে সীমানা জটিলতা নিয়ে যেসব কথা বলা হলো তা হালে পানি পেল না | অর্থাৎ কেউ বিশ্বাস করল না। সাধারণ মানুষ ধরে নিল যে, ঢাকাতে সরকার কোনোভাবেই কারচুপি করতে পারবে না কিংবা জয়লাভ করতে পারবে না সেই ভয় থেকেই নির্বাচন করাচ্ছে না। কেউ কেউ বলল - ঢাকা সিটির নির্বাচনকে সরকার ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করবে। অর্থাৎ যে মুহূর্তে বিরোধী দলের আন্দোলন দানা বেঁধে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে আন্দোলনের বেগকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া হবে। বাস্তবে হলোও তাই। বিরোধী দল গত দুই মাস ধরে নজিরবিহীন আন্দোলন এবং আন্দোলনের বাইরে সীমাহীন অরাজকতা সৃষ্টি করে সারা দেশের বারোটা বাজিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় যখন নতুন নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রীর সিটি নির্বাচন সংক্রান্ত ঘোষণা সরকারি দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করলেও জনগণ কিন্তু সাড়া দিচ্ছে না। জনগণ চাচ্ছে আগে চলমান সমস্যার সমাধান হোক - তারপর নির্বাচন।
সরকার কর্তৃক নির্বাচন অনুষ্ঠান ঘোষণার পর সরকারি দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দক্ষিণ অংশে আমিসহ আরও দু-একজনের নাম শোনা গেলেও উত্তর অংশে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। প্রধান বিরোধী দলতো বটেই এমনকি সরকার অনুগত বা সরকারি তল্পিবাহক গৃহপালিত বিরোধী দলগুলোও তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। ইতোমধ্যে জনগণ জেনে গেছে, বিএনপি কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনে আসবে না। ফলে নির্বাচনের মাঠে কোনো উত্তাপ নেই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সর্বশেষ বক্তব্য এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী মনোনয়নের ধরন দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সন্দেহ প্রকাশ করে বলছেন - সম্ভবত এ যাত্রায়ও নির্বাচনটি হচ্ছে না। সিইসি বললেন - সামনে রোজা এবং এইচএসসি পরীক্ষা। আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করব। তারা যদি আমাকে মাত্র দশটি দিন দিতে পারেন তবে আমি নির্বাচন করে ফেলতে পারব। নির্বাচন সম্পর্কে সিইসির প্রথম বক্তব্য এবং সর্বশেষ বক্তব্যের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। কাজেই সংশ্লিষ্ট মহলের সন্দেহ প্রকাশ অমূলক নয়। এবার সরকারি দলের মনোনীত প্রার্থীদের সম্পর্কে কিছু বলে নিই। প্রথমে বলি দক্ষিণ সিটির সরকারি দলের রাজনীতি সম্পর্কে। তারপর বলব উত্তর সিটি নিয়ে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দক্ষিণ অংশের রাজনীতিতে গত ৮-১০ বছর ধরেই সাঈদ খোকন অনেকটা অনাকাক্সিক্ষত পর্যায়ে আছেন। তার প্রয়াত বাবার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব এবং ১/১১-এর সময়ে দল ত্যাগ করে ড. ফেরদৌস আহম্মদ কোরেসীর সঙ্গে পিডিবিতে যোগদানের কারণে শুধু নেতাকর্মীরাই নন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও তার ব্যাপারে বিরূপ ছিলেন। এ কারণে গত দু-দুটি সংসদ নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন তো দূরের কথা দলের কোনো উল্লেখযোগ্য পদ-পদবিতেও বসাননি। দক্ষিণ ঢাকার রাজনীতিতে যারা আছেন তাদের সবার সঙ্গেই সাঈদ খোকনের দা-কুমড়া সম্পর্ক। এ অবস্থায় তার মনোনয়ন কেউ মেনে নিতে পারেনি। আওয়ামী লীগের চিরায়ত প্রথা অনুযায়ী সাঈদ খোকনের বারোটা না বাজিয়ে তার প্রতিপক্ষরা ঘরে ফিরবে না। প্রধানমন্ত্রী এসব জানা সত্ত্বেও কেন তাকে হঠাৎ করে ডেকে নিয়ে মনোনয়ন দিলেন তা আর কেউ না বুঝলেও স্বয়ং প্রার্থী ঠিকই বুঝেছেন হাড়ে হাড়ে।
প্রায় একই অবস্থা ঢাকা উত্তরের। ব্যবসায়ী আনিসুল হক দৃশ্যত কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংযুক্ত নেই। ছাত্র রাজনীতির অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্য তার নেই। ট্রেড পলিটিক্সের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে দেশের সব শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার সঙ্গেই তার সখ্যতা রয়েছে। তারপরও তিনি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে উত্তর আওয়ামী লীগ নেতাদের সমর্থন তো পাবেনই না ; বরং মারাত্মক বিরোধিতার সম্মুখীন হবেন। উত্তরের এমপি রহমত উল্লাহ, সাহারা খাতুন, কামাল মজুমদার, আসলামুল হক, ইলিয়াস মোল্লা এবং সাভারের সাবেক এমপি মুরাদ জং সমন্বিতভাবে আনিসুল হককে সাহায্য না করলে তিনি এক পাও এগোতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয় জানা সত্ত্বেও কারও সঙ্গে আলোচনা না করে নাটকীয়ভাবে আনিসুল হকের নাম ঘোষণা করে তাকে মূলত বিপদেই ফেলে দিয়েছেন। আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন - এ মনোনয়নে জনাব হক নাকি উচ্ছ্বসিত নন, তার পরিবার বিশেষ করে তার বাবা নাকি নির্বাচনের ব্যাপারে একেবারেই অনাগ্রহী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের উপরোক্ত মন্তব্যের বাইরে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদেরও রয়েছে নানারকম মন্তব্য। তাদের মতে বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে সরকার কিছুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঝুঁকিতে জড়াতে চাইবে না। রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন হলে বিরোধী পক্ষ বিরাট ফায়দা লোটার চেষ্টা করবে। প্রার্থীদের মিছিল মিটিংয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে সন্ত্রাস চালিয়ে নিরাপদে সটকে পড়বে। পরবর্তীকালে প্রার্থীরা একজন আরেকজনকে দায়ী করবে এবং মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে নিত্যনতুন সন্ত্রাস ও অরাজকতার জন্ম দেবে। অর্থাৎ সরকারি দলের মনোনীত এবং বিদ্রোহী প্রার্থীরা যখন নিজেরা নিজেরা মারামারি করে ধ্বংসের প্রান্তসীমায় পৌঁছবে তখন বিরোধীরা মহানন্দে বগল বাজাতে থাকবে।
নির্বাচনের সময় ঢাকা মহানগরীর পুরো প্রশাসনযন্ত্র নির্বাচন কমিশনের অধীন চলে যাবে। বর্তমান কমিশন একাধারে সেই প্রশাসন দিয়ে নির্বাচন করাবে এবং অন্যদিকে রাজনৈতিক সন্ত্রাস দমন করবে এমন আশা করাটাই একটি অমূলক চিন্তা। এছাড়া শত শত প্রার্থীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, ভোটারদের নিরাপত্তা এবং নির্বিঘ্ন প্রচার-প্রচারণা চালানোর পরিবেশ সৃষ্টি করাও বর্তমান অবস্থায় অসম্ভব একটি বিষয়। ফলে সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়ে নাটক মঞ্চায়নের মহড়া দিতে পারে কিন্তু নির্বাচন করার ঝুঁকি নেবে বলে মনে হচ্ছে না। অন্যদিকে যদি আরও একটি ৫ জানুয়ারি মার্কা নির্বাচন করাতে চায় তাতে অবশ্য কোনো অসুবিধা নেই। আজকের লেখার প্রান্তসীমায় চলে এসেছি। এবার নিজের প্রসঙ্গে দু-একটি বাক্য বলে লেখাটি শেষ করব। নির্বাচন হোক বা না হোক তাতে আমার কিচ্ছু আসবে যাবে না। কারণ আমার যা পাওয়ার তা আমি পেয়ে গেছি | অর্থাৎ মেয়র হয়ে গেছি। কীভাবে? লোকজনের মুখে মুখে। অনেক মানুষ এখন আমাকে এমপি সাহেব না বলে মেয়র সাহেব বলছেন। না হোক কাগজপত্র কিংবা দলিল দস্তাবেজে মানুষের মুখের কথাকেই আমি হয়তো মাথায় তাজ বানিয়ে নেব - এটাই কম কিসে? কিংবা এটাই কজনের ভাগ্যে জোটে!
এর আগে বুধবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে `মেয়র নির্বাচন কি খুবই সহজ?` শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দেন গোলাম মওলা রনি।
এমজেড/বিএ/এমএস