অবৈধ মজুত-দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে মনিটরিংয়ের নির্দেশ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশেও ৪৮ জন আক্রান্ত ও পাঁচজন মারা গেছেন। কিন্তু এমন দুর্যোগের মধ্যেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য অবৈধভাবে মজুত- দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে করোনায় বাড়তি আতঙ্ক তৈরি করেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এনিয়ে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। তাই মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কারসাজি ধরতে এবং অবৈধ মজুত-দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে পুলিশের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এমন নির্দেশনার তথ্য জানিয়েছে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনাভাইরাস ইস্যুকে অজুহাত বানিয়ে অতিরিক্ত লাভের আশায় করা অবৈধ মজুত, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ খাদ্যপণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে এবং সংশ্লিষ্ট যান চলাচল ঠিক রেখে বাজার স্থিতিশীল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাজার সরবরাহ সচল এবং অবৈধ মজুত ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পুলিশের প্রতিটি ইউনিটকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিট একযোগে অবৈধ মজুত ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুসারে বাংলাদেশ পুলিশ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
এ ছাড়া করোনাভাইরাসের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে পুলিশের ইউনিটগুলো মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন প্রচার কার্যক্রম গ্রহণ করছে বলে নিশ্চিত করেছেন এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা।
জেইউ/এএইচ/জেআইএম