চট্টগ্রামে প্লট জালিয়াতি মামলায় ৪ জনের ১৫ বছর করে কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৮:৩৩ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ভুয়া বরাদ্দ আদেশ বানিয়ে চট্টগ্রাম হালিশহর হাউজিং সোসাইটির সরকারি প্লট আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দুই কর্মচারীসহ চার আসামিকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুনশী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। একই রায়ে চারজনের প্রত্যেককে ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন প্লট গ্রহীতা চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার দুবাই বিল্ডিং এলাকার মনির আহাম্মদের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন, সদরঘাট এলাকার সাখাওয়াত উল্লাহর ছেলে নাসিম ইকবাল হোসেন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চাকুরিচ্যুত নিম্নমান সহকারী কাম ক্যাশিয়ার পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার মাটিভাংগা গ্রামের মো. কাঞ্চন আলী হাওলাদার এবং গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের এলএমএসএস কুমিল্লা জেলার বরুরা থানার ভিমরুল গ্রামের মো. আবুল কাশেম।

আরও পড়ুন: বনাঞ্চলের গাছ কেটে ঘের খনন, ২ জনের কারাদণ্ড 

মামলায় অভিযোগপত্রের এক নম্বর আসামি খলিলুর রহমান মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতে দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ২০০২ সালের মামলা। তখন দুর্নীতি দমন ব্যুরো ছিলে। জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের আদেশ জালিয়াতি করে হালিশহর হাউজিং সোসাইটিতে সরকারি প্লট আত্মসাতের অভিযোগের ওই মামলায় আদালত অভিযোগপত্রের ৫ আসামির মধ্যে ৪ জনকে বিভিন্ন ধারায় ১৫ বছর করে কারাদণ্ড, ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় চার আসামিই আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। পরে আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নগরীর হালিশহর হাউজিং সোসাইটিতে আসামি খলিলুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, নাসিম ইকবাল হোসেন ৩ দশমিক ৬৫ কাঠা করে তিনটি প্লটে ১০ দশমিক ৯৫ কাঠা সরকারি জায়গা ভুয়া লিজ বরাদ্দ দেখিয়ে রেজিস্ট্রিমূলে আত্মসাৎ করেন। এ জমি আত্মসাতে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের একজন ক্যাশিয়ার ও একজন এলএমএসএস সহযোগিতা করেন। এ নিয়ে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস বাদী হয়ে তিন প্লটগ্রহীতা ও গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দুই কর্মচারীকে আসামি করে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

আরও পড়ুন: ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা দুদক কর্মকর্তা কারাগারে 

প্রায় ১০ বছর তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

 

ইকবাল হোসেন/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।