সরকার তামাশা শুরু করেছে: সাকি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১৯ পিএম, ০১ এপ্রিল ২০২৩

বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে নিয়ে তামাশা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, মানুষ যখন বাজারে গিয়ে চাল কিনতে পারে না, তখন আওয়ামী লীগের অনেকেই পাকিস্তানের উদাহরণ দিয়ে বলেন ‘তাদের চেয়ে ভালো আছি।’ আওয়ামী লীগের লোকজন এখন দেশের বাজারের খারাপ অবস্থার তুলনা পাকিস্তানের সঙ্গে দেন।

শনিবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়া কারো আর্থিক সচ্ছলতা নেই: নোমান

জোনায়েদ সাকি বলেন, আপনারা জানেন, গত কয়েকদিনে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে নিয়ে কী ঘটেছে। আমরা সবাই এখন গভীর উদ্বেগের মধ্যে আছি। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে সব কাজ করছে।

শামসুজ্জামানের গ্রেফতারের প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, প্রথম আলো নিউজ করেছে, যেখানে ভাত-মাছ খাওয়ার কথা বলেছেন একজন দিনমজুর। সেখানে একটি শিশুর ছবি দিয়ে খবর প্রচার করা হয়েছিল, প্রথম আলো ১৭ মিনিটে তা সরিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করে। সেই খবর প্রচার করায় গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে আনা হয়। তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে অন্য একটি বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। গভীর রাতে করা এক ব্যক্তির মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। একটা সরকার কতো নির্লজ্জ হলে এই চেহারা দাঁড়ায়।

আরও পড়ুন: সরকার দেশের মানুষের কষ্ট বোঝে না: জিএম কাদের

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বাজার সিন্ডিকেট ও অর্থপাচার দায়ী- এটা সরকার স্বীকার করতে চায় না উল্লেখ করে সাকি বলেন, সরকারের কাজ এগুলো সমাধান করা। কিন্তু তা না করে মানুষ ও গণমাধ্যমের গলাটিপে ধরছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ মানেই সংবাদমাধ্যমের গলাটিপে ধরা।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সমালোচনা করে জোনায়েদ সাকি বলেন, তিনি মিথ্যা কথা বলে সব কিছু জায়েজ করতে চান। তারা বলেন এটা না কি স্বাধীনতার ভিত্তিতে আঘাত, এতো সহজেই স্বাধীনতা হুমকিতে পড়ে? আমি বলতে চাই আপনারাই ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বাধীনতা হুমকিতে ফেলছেন। যেই সরকার জনগণকে সমস্যায় রাখে তারা স্বাধীনতার সরকার হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, রাতের আঁধারে ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে তুলে আনা যায় না, আমরা এই আইনের পরিবর্তন করবো। এই সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এটা পরিবর্তন করতে হবে।

আরও পড়ুন: বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচার বাংলার মাটিতেই হবে: ছাত্রদল

গনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, আমাদের এবারের লড়াই স্বাধীনতার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লড়াই। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।

অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গনসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, গনসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, পপি রানী সরকারসহ গনসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা।

কেএইচ/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।