‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদান কখনই ভুলবো না’

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:৩৭ পিএম, ০১ মে ২০২৫

দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বিশ্বস্ততার সঙ্গে কাজ করার পর অবশেষে দেশে ফিরছেন একদল বাংলাদেশি কর্মী। বিদায় বেলায় তাদের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সম্মান জানালেন তাদের মালিক। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মীদের বিদায় জানাতে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন নিয়োগকর্তা এন. মুস্তাফা কামাল।

প্রায় দেড় যুগ আগে মুস্তাফা কামালের বাগানে কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া আসেন এই বাংলাদেশি কর্মীরা। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তারা অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বাগানের পরিচর্যা করেছেন। তাদের কর্মদক্ষতা ও সততায় মুগ্ধ ছিলেন মালিক। অবশেষে তাদের দেশে ফেরার সময় ঘনিয়ে আসে।

বিজ্ঞাপন

২৯ এপ্রিল কর্মীরা যখন দেশের পথে রওনা হচ্ছিলেন, তখন তাদের বিদায় জানাতে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ছুটে যান মুস্তাফা কামাল। বিমানবন্দরে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

মালিক শেষবারের মতো একে একে তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীদের বুকে জড়িয়ে ধরেন। এই বিরল দৃশ্য বিমানবন্দরের অন্যান্য যাত্রীদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কর্মীদের বিদায় জানানোর সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও মুস্তাফা কামাল নিজেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে একদল বাংলাদেশি কর্মী আমার বাগানটিকে অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে পরিচর্যা করেছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া বাগানটি আজকের এই অবস্থানে আসতে পারত না। আজ তাদের বিদায় জানানোর পালা, তারা তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের এই দীর্ঘদিনের সকল সেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আমরা তাদের অবদান কখনোই ভুলব না।’

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

ভিডিওটি পোস্ট করার অল্প সময়ের মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনরা মালিকের এই আন্তরিকতার যেমন প্রশংসা করছেন, তেমনই দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে নিষ্ঠার সাথে কাজ করা বাংলাদেশি কর্মীদেরও ভূয়সী প্রশংসা করছেন। এই ঘটনা মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সুন্দর ও মানবিক সম্পর্কের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - jagofeature@gmail.com