কেন ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে রিট করেছেন ফারুক আহমেদ?

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৪৮ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খালি চোখে মনে হচ্ছে ক্রীড়া উপদেষ্টার মধ্যস্ততায় যে সমঝোতার প্রস্তাব এসেছিল, তামিম-এর নেতৃত্বাধীন বিএনপিপন্থী প্যানেল শেষ মুহূর্তে এসে তা প্রত্যাখ্যান করাতেই বিপত্তি। অনেকেরই ধারনা তামিম যখন ৯ঃ ৩ অনুপাত (বিএনপিপন্থীরা ৯ আর সরকার পক্ষের ৩) না মানার প্রস্তাব দেন, বলেন- আমরা আর পরিচালক ভাগাভাগি করতে চাই না। আমরা সরাসরি পূর্ণ প্যানেল, ক্লাব ক্যাটাগরিতে ১২ পদের জন্যই নির্বাচন করতে চাই।

তামিম এমন কথা বলতেই ক্রীড়া উপদেষ্টা বিগড়ে যান এবং তামিমদের নিজেদের মত করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা বলে বসেন। মূলতঃ তখনই পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে এবং তারই ফলশ্রুতিতে আবারও ১৫ ক্লাবের ওপর নিধেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসে। রাত পার হয়ে (আজ) মঙ্গলবার দুপুর নামতেই আদালতে রিট হয়ে যায় দুদকের অবজারভেশনে থাকা ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে।

এদিকে আরও একটি ইস্যুও উঠে এসেছে। তাহলো, তামিমের নেতৃত্বাধীন বিএনপিপন্থি প্যানেল আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে সভাপতি মানলেও ঢাকার ক্লাব কোটায় বোর্ডে ফারুক আহমেদের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে চরম বিরোধী। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ফারুক আহমেদ যাতে নির্বাচিত হয়ে বোর্ডে আসতে না পারেন, সে লক্ষ্যেই শেষ পর্যন্ত ক্রীড়া উপদেষ্টার ৯ঃ৩ ফর্মুলা থেকে সরে ১২ জনের প্যানেলে প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তামিমপন্থিরা।

তাকে নিয়ে যখন প্রতিপক্ষ প্যানেলের এত বিরোধিতা, অনেকেরই ধারণা, সেই ক্ষোভেই ফারুক আহমেদ আজ মঙ্গলবার রিটটি দায়ের করেছেন। আগের রাতে তার ব্যাপারে ‘অবজেকশন’ পড়েছে। আর আজ তিনি রিট করেছেন। এমন ভাবনার উদ্রেক ঘটাও অস্বাভাবিক নয়। মূলত ঘটনা আসলে কী? সত্যিই কী ফারুক আহমেদ রাগের বশবর্তী হওয়ার পাশাপাশি নির্বাচনী বৈতরণী পার হতেই রিট করেছেন?

মঙ্গলবার রাতে জাগো নিউজের সাথে মুঠোফোন আলাপে বিষয়টা অস্বীকার করেছেন ফারুক। কেন রিটটি করলেন তাহলে? বিসিবির সাবেক প্রধান নির্বাচক ও সাবেক সভাপতি- এ সময়োচিত প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘রিটটা এমন এক সময়ে হয়েছে যা দেখে অনেকেই হয়ত ভাবছেন এর সাথে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার একটা সম্পর্ক আছে। মূলত ভোটের লড়াইয়ে জিততেই বুঝি আমি এ রিটটি করেছি!’

‘আসলে তা নয় একদমই। একটু পিছন ফিরে তাকান। পরিষ্কারভাবে দেখবেন, আমিই এই ১৫ ক্লাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলাম। আমি এই ক্লাবগুলোর বিপক্ষে বরাবরই সোচ্চার ছিলাম। আমি যে অল্প সময় বোর্ড পরিচালনার দায়িত্বে ছিলাম, ওই সময়টায়ই এই ১৫ ক্লাবের বিপক্ষে আমার সুস্পষ্ট অবস্থান ছিল। এবং সে সোচ্চার থাকার যথেষ্ট কারণও ছিল। আমার মনে হয় ওই ক্লাবগুলোর কারণেই আমাদের আম্পায়ারিংয়ের মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আম্পায়দের মান নষ্ট হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, গত ১০ বছরে প্রায় ৯ হাজার ক্রিকেটারের জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সর্বোপরি ক্রিকেটের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। তাই আমি বরাবরই এই লিগটার বিপক্ষে সোচ্চার ছিলাম। তাই আমি মনে করেছি, এ ক্লাবগুলো অবৈধ। এজন্যই রিট করেছি। তার সাথে কেউ অন্য কিছু চিন্তা করলে বা অন্য কিছুর সংযোগের কথা ভাবলে ভুল করবেন। আমি আমার অবস্থানটা ধরে রেখেছি। এরসঙ্গে কৌশলে আইনী মারপ্যাঁচে নির্বাচনে জেতার কোন অভিলাস নেই আমার।’

এআরবি/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।