‘ঘরের মাঠে খুব ভালোভাবে কামব্যাক করবো’

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, ০৩ মে ২০২১

নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন। খেলেছিলেন মাত্র একটি ম্যাচ। কিন্তু পারফরম্যান্স খুবই বাজে। এ সময়েই পড়েছিলেন হালকা ইনজুরিতে। যে কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দলে বিবেচনায়ও আসেননি। যদিও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আর ওয়ানডেও খেলেছেন ২০১৯ সালের জুলাইতে, কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

দীর্ঘদিন পর এবার সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ওয়ানডের জন্য প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন মোসাদ্দেক সৈকত। রোববার থেকে শুরু হয়েছে প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়াদের অনুশীলন। আজ মিডিয়ার সামনে এসে কথা বলেছেন সৈকত।

জানালেন ইনজুরি থেকে সেরে ওঠে ভালোই অনুশীলন করছেন এবং বেশ ভালো অনুভব করছেন। তিনি বলেন, ‘ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার পর আমি ২-৩ দিন অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছি। এখানে আসার পরও দুইদিন অনুশীলন করলাম। অনেক ভালো অনুভব করছি। পায়ের যে অবস্থা ছিল সেখান থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং ও জিমও করলাম, কোন কিছুতেই সমস্যা মনে হচ্ছে না।’

আগের চেয় নিজেকে বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে সৈকতের। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আগের থেকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। কারণ এখন যখন আমি ব্যাটিং, বোলিং করতেছি আমার মনে হচ্ছে আগের চেয়ে ভালো শেফে আছি। এ জায়গা থেকে বলবো যে আমি আগের চেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী।’

ঘরের মাঠে কিংবা বিদেশের মাটিতে, সব জায়গায় খুব বাজে অবস্থা বাংলাদেশ দলের। সৈকত মনে করেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই ওয়ানডে সিরিজেই বাংলাদেশ বেশ ভালোভাবে কামব্যাক করবে। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দলের যে অবস্থা, সবাই দেখেতেছে যে আমরা একটা খারাপ সময় পার করছি। আমরা আশা করি যে খুব তাড়াতাড়ি এটা ওভারকাম করবো, দল খুব ভালোভাবে কামব্যাক করবে ইনশা আল্লাহ।’

মোসাদ্দেক হোসেনকে যে জায়গায় খেলানো হয়, সেটা ফিনিশিংয়ের জন্য আদর্শ জায়গা। তাকে মনে করা হয় একজন ফিনিশার। নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে সৈকত বলেন, ‘আসলে ফিনিশারদের যে দায়িত্বটা থাকে, যখন ব্যাটিং করি হয়তো খারাপ সময়টাতে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া এবং ভালোভাবে ফিনিশ করা এটাই সবসময় কাজ থাকে। আর ভালো সময়ে ফিনিশ করার দায়িত্বটাও আমাদের উপর থাকে।’

অনুশীলনে নতুন কোনো কিছু নিয়ে কাজ করছেন কি না, জানতে চাইলে সৈকত বলেন, ‘নতুন করে কাজ করা বলতে এই সময়টাতে ইয়র্কার ও স্লোয়ার বেশি আসে আমরা জানি। আমি এটা নিয়েই কাজ করতেছি যে স্লোয়ার ও ইয়র্কার বলগুলো থেকে কিভাবে রান বের করতে পারবো। এর বাইরে আমি মনে করি নতুন করে কাজ করার কিছু নেই, তাই এ জায়গাটায় ইন্নতি নিয়ে কাজ করতেছি।’

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।