আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১-২ ম্যাচ জেতাতে চান পেসাররা

আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজের দলে পেস ডিপার্টমেন্টে মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের সঙ্গে প্রথমবারের মতো নেওয়া হয়েছে এবাদত হোসেনকেও। অথচ দলে বিশেষজ্ঞ স্পিনার আছেন মাত্র দুজন- নাসুম আহমেদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ।
এর বাইরে সাকিব আল হাসান আছেন জেনুইন অলরাউন্ডার হিসেবে। দলের প্রয়োজনে হাত ঘোরানোর মতো আছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। তবে ১৫ জনের দলে চার বিশেষজ্ঞ পেসার নিয়ে স্পষ্ট বার্তাই দিয়েছে বাংলাদেশ।
তা হলো, স্পিনে শক্তিশালী আফগানিস্তানকে পেস দিয়ে ঘায়েল করতে চায় বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত যে ৫ ওয়ানডে জিতেছে বাংলাদেশ দল, সেসব ম্যাচে পেসাররাই রেখেছেন মুখ্য ভূমিকা। শুধু তাই নয়, সবমিলিয়ে স্পিনের চেয়ে পেসের বিপক্ষেই বেশি সমস্যা হয় আফগান ব্যাটারদের।
তাই তাদেরকে আরও একবার পেস দিয়ে কুপোকাত করার জন্যই মূলত স্কোয়াডে চারজন পেসার রেখেছে বাংলাদেশ দল। আর নিজেদের কাজ সম্পর্কেও অবগত আছেন পেসাররা। প্রথমবারের মতো ওয়ানডে স্কোয়াডে ডাক পাওয়া এবাদত হোসেনই যেমন।
গত কয়েক বছর ধরেই লাল বলের টেস্ট ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ ডানহাতি পেসার এবাদত। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে মিনিস্টার ঢাকার জার্সিতে সাদা বলের ক্রিকেটেও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে ডাক পেয়েছেন ওয়ানডে দলে। তার আশা, আফগানিস্তানের বিপক্ষে পেসাররাই অন্তত ১-২ ম্যাচ জেতাবে।
সোমবার বিসিবির সরবরাহকৃত ভিডিওবার্তায় এবাদত বলেছেন, ‘আমরা পেসাররা চেষ্টা করবো এখানে যে তিনটা ম্যাচ আছে, অন্তত একটা-দুইটা ম্যাচ জেতাবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের পেস ডিপার্টমেন্টের খুব ভালো সময় যাচ্ছে আমাদের সবার। চেষ্টা করবো আমরা তিন ম্যাচেই আধিপত্য ধরে রাখতে।’
এসময় প্রথমবারের ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছি ১১টা। এই প্রথম সুযোগ পেয়েছি ওয়ানডে দলে। বিপিএলে আমাদের দলে তামিম-মাশরাফি-রিয়াদ ভাই ছিলেন। অনেক সাপোর্ট পেয়েছি উনাদের কাছ থেকে। এখন সাদা বলে অনুশীলন করছি। ভালো করার চেষ্টা করবো।’
ওয়ানডের সঙ্গে টেস্টের ভিন্নতার কথা জানিয়ে এবাদত বলেন, ‘সারাদিন এক জায়গায় বল করার সামর্থ্য থাকতে হয় (টেস্টে)। এখানে একটু আলাদা। চেষ্টা করবো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানিয়ে নেওয়ার। আমার শক্তির জায়গা যেটা, সেটা চেষ্টা করবো এখানে নতুন বল কাজে লাগানোর।’
এসএএস/এএসএম