পিছিয়ে থেকেও সিরিজ জয় জিম্বাবুয়ের

প্রথম ম্যাচেই জিম্বাবুয়েকে চমকে দিয়েছিলো নেদারল্যান্ডস। তবে পরের দুই ম্যাচ জিতে ঠিকই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। সর্বশেষ শনিবার রাতে সফরকারী নেদারল্যান্ডসকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে জিম্বাবুইয়ানরা। সে সঙ্গে সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।
প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুইয়ানদের করা ২৪৯ রানের জবাব দিতে নেমে ৩ উইকেটের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ডাচরা। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতেছিলো তারা। দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। তবে এই ম্যাচে তুমুল লড়াই হয়েছিলো। শ্বাসরূদ্ধকর ম্যাচে মাত্র ১ রানেই জয় পায় জিম্বাবুয়ে।
ওই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে স্বাগতিকরা সংগ্রহ করেছিলো ২৭১ রান। জবাব দিতে নেমে ২৭০ রানে গিয়ে থেমে যায় নেদারল্যান্ডস। পুরো ৫০ ওভার খেললেও শেষ বলে গিয়ে তারা হয় অলআউট।
তবে শনিবার তৃতীয় ম্যাচে ডাচদের আর দাঁড়াতে দেয়নি জিম্বাবুয়ে। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৩১ রান করেছিলো নেদারল্যান্ডস। জবাব দিতে নেমে ৪১.৪ ওভারে (৫০ বল হাতে রেখেই) জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করে ডাচরা। বড় কোনো ইনিংস খেলতে পারেনি কেউ। ম্যাক্স ও’দাউদ ৩৮ রান করেন। ৩৭ রান করেন কলিন অ্যাকারম্যান। ৩৪ রান করেন স্কট এডওয়ার্ডস। ২৭ রান করেন বিক্রমজিৎ সিং। ২৯ রান করেন মুসা আহমেদ।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ৩ উইকেট নেন শন উইলিয়ামস, ২ উইকেট নেন সিকান্দার রাজা, ১টি করে উইকেট নেন তেন্দাই চাতারা, রিচার্ড এনগারাভা, ওয়েসলি মাধভিরে এবং ব্লেসিং মুজারাবানি।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করে জিম্বাবুয়ে। দুই ওপেনার ওয়েসলি মাধভিরে এবং ক্রেইগ আরভিন মিলে ৯৬ রানের জুটি গড়েন। ৬১ বলে ৫০ রান করে আউট হন। ৫৫ বলে ৪৪ রান করেন ক্রেইগ আরভিন। ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন গ্যারি ব্যালান্স। ৫৩ বলে ৪৩ রান করেন শন উইলিয়ামস। ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন সিকান্দার রাজা।
আইএইচএস/