হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন শ্রেয়াস

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫১ এএম, ০১ নভেম্বর ২০২৫

ভারত-অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন শ্রেয়াস আয়ার। এরপর থেকে সিডনির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। অবশেষে হাসপাতাল থেকে শনিবার ছাড়া পেলেন তিনি।

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই ভারতীয় ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ককে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ক্যাচ ধরতে গিয়ে বাঁ-দিকের পাঁজরে চোট পেয়েছিলেন শ্রেয়স।

শ্রেয়াস কবে দেশে ফিরবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। তার শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করবেন ভারতীয় বোর্ড কর্মকর্তারা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন শ্রেয়াস। দীর্ঘ বিমান সফর করার মতো সুস্থ হওয়ার পরই তাকে সিডনি থেকে মুম্বাইয়ে নিয়ে আসা হবে। তাকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার জন্য বিসিসিআই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের প্রতি।

গত ২৫ অক্টোবর ম্যাচে চোট পাওয়ার পর মাঠ ছেড়েছিলেন শ্রেয়াস। সাজঘরে ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভারতীয় দলের চিকিৎসক এবং ফিজিও ঝুঁকি না নিয়ে তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেদিন থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন শ্রেয়াস আয়ার। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে আইসিইউয়ে রাখা হয়। এ জন্য চিকিৎসকদের একটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ভারতীয় দলের চিকিৎসকও সিডনিতে থেকে যান শ্রেয়াসের জন্য। তার প্লীহায় ক্ষত ধরা পড়ে। বিশেষ পদ্ধতিতে সেই ক্ষত ঠিক করা হয়। শ্রেয়াস বিপদমুক্ত হওয়ার পর এবং তার শারীরিক অবস্থা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে সাধারণ আইসিইউ থেকে বের করে আনা হয় তাকে।

বিসিসিআই প্রথম থেকে শ্রেয়াসের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করেছে। দেশে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া শ্রেয়াসের বাবা-মা এবং বোনকে দ্রুত অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর উদ্যোগ নেন বোর্ড কর্তারা। ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী শ্রেয়াসের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, দু’-তিন সপ্তাহ পর শ্রেয়াস মাঠে ফিরতে পারবেন।

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।