জামাল ভূঁইয়া জানেন ভারতের ম্যাচে অনেক গালাগালি হবে
অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরুর ৬ মিনিটেই শেষ হওয়া ম্যাচে গ্যালারির চিত্রটা কেমন হতে পারে, তা অনুমেয়। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ-ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামের দর্শকভরা গ্যালারি জয়ের প্রতীক্ষায় থাকবে। হামজা-শামিতদের পায়ে বল গেলে গ্যালারিতে আওয়াজ উঠবে। বল হারালে ভিন্ন চিত্রও দেখবেন ফুটবলাররা। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া সেটা ভালো করেই জানেন।
সোমবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূঁইয়া পরিষ্কারই বলেছেন, ‘এটা একটা ইমোশনাল ম্যাচ। এই ম্যাচের পর জাতীয় দলের লম্বা একটা গ্যাপ আছে। আমরা যদি বছরটা জয় দিয়ে শেষ করতে পারি, তা শুধু আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য নয়, সমর্থক ও আপনাদের সবার জন্যই ইতিবাচক হবে। তাই আমার জন্য ম্যাচটি আবেগের, একই সঙ্গে মস্তিষ্ক ব্যবহার করে খেলতে হবে। আমি জানি এ ম্যাচে অনেক ফ্রিকিক হবে, ফাউল হবে, হলুদ কার্ড হবে। এমনকি গালাগালও হবে। সবই আমি স্বভাবিকভাবে নেবো। কারণ, এই ম্যাচের তাৎপর্য আমি জানি।’
জামাল ভূঁইয়া বাংলাদেশের লাল-সবুজ জার্সিতে খেলছেন ১২ বছর ধরে। তারও ১০ বছর আগে সর্বশেষ ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এই ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল ভারত। ফুটবল অঙ্গনে এখন ২২ বছর ধরে ভারতকে হারাতে না পারার আফসোস। হামজা, শামিতদের নিয়ে কি দীর্ঘ প্রতীক্ষার জয়টি আসবে?
জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের এই দলটি বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী। তাই অবশ্যই আমাদের একটা বড় সুযোগ আছে।’
হামজার ছয় ম্যাচের চার গোলের দুটিই জামালের অ্যাসিস্ট থেকে। এটাকে অধিনায়ক সৌভাগ্য হিসেবেই দেখছেন। আর হামজার চার গোলের মধ্যে বাইসাইকেল কিকে করা গোলটিকে আলাদা করেই রাখছেন অধিনায়ক, ‘এটা আমার দেখা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা গোল।’
জামাল এখন একাদশে নিয়মিত নন। যখনই মাঠে নামেন, হামজার সাথে ভালো একটা বোঝাপড়া তৈরি হয় তার। সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জামাল বলেন, ‘হামজা বিদেশ থেকে এসেছেন আমার মতো। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভালো। হামজার যখনই কোনো সমস্যা হয়, আমাকে টেক্সট করেন বা কল করেন। ফুটবল নিয়ে কোনো জানার থাকলে আমি হামজাকে জিজ্ঞেস করি। সো এই আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা মাঠের বাইরে থেকেই শুরু হয়েছে।’
আরআই/এমএমআর/এমএস