বিশ্বকাপের সবচেয়ে বয়স্ক ফুটবলার এল হাদারি

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:২৮ পিএম, ২৫ জুন ২০১৮

সাধারণত এই বয়সে কোন ফুটবলার বুটজোড়া তুলে রেখে কোচ হওয়ার চেষ্টায় থাকে। কেউ বা অন্য কিছু করে। কিন্তু মিসরের অধিনায়ক এসাম আল হাদারি এখনো ফুটবল খেলে যাচ্ছেন। বয়সটা শুনলে চোখ কপালে উঠবে সবারই। মিসরের গোলরক্ষক এসাম আল হাদারির বয়স ৪৫।

সোমবার সৌদি আরবের বিপক্ষে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন মিসরের এই গোলরক্ষক। ৪৫ বছর ১৬১ দিন বয়সে খেলতে নামবেন বিশ্বকাপের মঞ্চে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এতো বয়সী কেউ আর খেলেনি আগে। এর আগে গত বিশ্বকাপে ৪৩ বছর ৩ দিন বয়সে বিশ্বকাপে খেলতে নেমে এই রেকর্ড গড়েছিলেন কলম্বিয়ান গোলরক্ষক ফ্যারিদ মনড্রাগন।

আজ ৪৫ বছর বয়সী এসাম আল হাদারি ঢুকে যাচ্ছেন বিশ্বকাপের রেকর্ডবুকে। স্বয়ং এসাম এ নিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্ত ইতিহাসের বইয়ে আজীবন থাকবে। আমি ৪৫ বছর বয়সী কিন্তু আমি ভালোভাবেই অনুশীলন করেছি, একজন কিশোরের মতোই। অনেক পরিশ্রম করে প্রমাণ করেছি বয়স শুধুই একটি সংখ্যা।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি জানিনা বিশ্বকাপের পর আমি অবসর নেবো কি না। যে কোন কিছুই সম্ভব। কে জানি যদি আমি খেলা চালিয়ে যাই? আমাকে হয়তো পরের মৌসুমে অন্য কোন দলেও দেখতে পারেন আপনি।’

এল হাদারির জন্ম ১৯৭৩ সালে কাফর আল বাত্তিখ গ্রামে। বাংলা করলে যার অর্থ দাঁড়ায় তরমুজের গ্রাম। এ কারণেই মাঝে মাঝে তরমুজ খেয়ে তিনি জয় উৎযাপন করেন।

ছোটবেলায় তিনি তার ফুটবল ক্যারিয়ার তার পরিবার থেকে গোপন রেখেছিলেন। তখন তাকে তার বাবার সাথে ফার্নিচার তৈরি করতে হতো। শেষ পর্যন্ত তিনি তার বাবাকে বলেন যে তিনি মিসরের দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব দামিয়েত্তায় সাইন করেছেন। তখন তাকে ক্লাবে অনুশীলনের জন্য নিজের বাড়ি থেকে ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত হেঁটে যেতে হতো। তারপর সেখান থেকে ট্রেনে করে ক্লাবে যেতেন এসাম। তখন তার কোন গ্লাভসও ছিলো না।

তার তিন বছর পরই ১৯৯৩ সালে মিসরের পরাশক্তি আল আহলির হয়ে ক্যারিয়ারের অভিষেক ঘটান এসাম। তখন মিসরের এবারের স্কোয়াডের সবচেয়ে তরুণ খেলোয়াড় রমজান সোভিরর জন্মও হয়নি!

এমনকি এসামের মেয়ে সাধ্যা এসামেরই জাতীয় দলের সতীর্থ্য খারাবার সাথে বাগদান সম্পন্ন করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এসামের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার অনেকটিই সমৃদ্ধ। মিসরের হয়ে তার জেতা চারটি আফ্রিকান কাপ যার প্রমাণ।

এবারের দল নিয়ে এসাম বলেন, ‘আমি এই দলের অধিনায়ক হতে পেরে গর্বিত। তারা সবসময় আমার কাছ থেকে শিখতে চায়।’

এছাড়া দলের প্রাণভোমরা মোহাম্মদ সালাহর প্রশংসাও ঝড়ে এসাম আল হাদারির কণ্ঠে। তিনি সালাহকে নিয়ে বলেন, ‘সে লিভারপুলের হয়ে যা অর্জন করেছে তার সবকিছুরই যোগ্য। আমার মতোই সে সেরা হওয়ার চেষ্টা নিয়ে খেলে। সে আমার মতোই একজন অধিনায়ক যদিও আনার হাতেই অধিনায়কের বাহুবন্ধনীটা থাকবে।’

ডিকেটি/এসএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।