মাঠে ঝাড়ি খেয়ে কেঁদে দিয়েছিলেন রোনালদো

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৭ এএম, ০৭ জুন ২০২০

খেলোয়াড়ি জীবনে ফর্মের চূড়ায় থাকা সময়টা স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে কাটিয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ২০০৯-১০ থেকে ২০১৭-১৮ পর্যন্ত নয় মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে ৪৩৮ ম্যাচে ৪৫০ গোলের অবিশ্বাস্য রেকর্ড গড়ে গেছেন তিনি।

তবু রিয়ালের সাবেক কোচ হোসে মরিনহোর সঙ্গে কেন যেন ঠিক বনিবনা হতো না রোনালদোর। এমন নয় যে মরিনহোর অধীনে ফর্মে ছিলেন না তিনি। যে তিন মৌসুম রিয়ালের কোচ ছিলেন মরিনহো, সে তিন মৌসুমে ১৬৪ ম্যাচে ১৬৮ গোল করেছিলেন রোনালদো।

বলার অপেক্ষা রাখে না, মরিনহোর সব পরিকল্পনার কেন্দ্রেই ছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। তবু মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে প্রায়ই শোরগোল বেঁধে যেত রোনালদো-মরিনহোর। যা মানসিকভাবে বেশ কষ্ট দিতো রোনালদোকে। এমনও হয়েছে, মরিনহোর ঝাড়ি খেয়ে একা একা ড্রেসিংরুমে বসে কেঁদেছেন রোনালদো।

এ ঘটনা বাইরের মানুষের জানার কথা নয়। তবে জানা গেছে রোনালদোর রিয়াল মাদ্রিদের সতীর্থ লুকা মদ্রিচের মাধ্যমে। ২০১২ সালের সামারে উইন্ডোতে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার মদ্রিচ। প্রথম থেকেই তিনি টের পান মরিনহো-রোনালদোর অম্লমধুর সম্পর্কের বিষয়টি।

তেমনই একটি ঘটনা ছিল ২০১২ সালের কোপা দেল রে ম্যাচে। যেখানে দুই গোলে এগিয়ে থাকায় প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের খুব একটা চার্জ করছিলেন না রোনালদো। যা একদমই পছন্দ হয়নি মরিনহোর। ফলে খেলা চলাকালীনই ইচ্ছেমতো ঝাড়তে থাকেন রোনালদোকে।

নিজের আত্মজীবনী ‘মাই গেম’ বইয়ে এ ঘটনার কথা লিখেছেন মদ্রিচ। তার ভাষ্য, ‘আমি মরিনহোর প্রতিক্রিয়া দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছিলাম। কোপা দেল রে’র ম্যাচটিতে আমরা ২-০ গোলে এগিয়ে ছিলাম। একটা থ্রো-ইনের পর রোনালদো প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের চার্জ করেনি। আর এতেই মরিনহো রেগে আগুন হয়ে যায়।’

‘তারা দুজন মাঠের মধ্যেই লম্বা সময় ধরে ঝগড়া করতে থাকে। হাফ টাইমে যখন ড্রেসিংরুমে ফিরলাম, তখন দেখি হতাশাগ্রস্ত রোনালদো কান্নায় ভেঙে পড়েছে। সে বলছিলে, আমি তো সেরাটাই দেই মাঠে, তবু সে (মরিনহো) সবসময় আমার নিন্দা করে, কটুক্তি শোনায়।’

পরে মরিনহো সেখানে এসে আরেক দফা ঝড় তুলেছিলেন বলে লিখেছেন মদ্রিচ, ‘মরিনহো এলো এবং ম্যাচে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কথা বলে রোনালদোকে ইচ্ছেমত কথা শুনাতে শুরু করলো। তারা দুজন এতটাই উত্তপ্ত হয়ে যেত যে দলের খেলোয়াড়দের মধ্যস্থতার কারণেই দুজনের মধ্যে কোন হাতাহাতি হতো না।’

সে মৌসুমের কোপা দেল রে’তে সব ম্যাচ জিতে ফাইনাল পর্যন্ত ঠিকই পৌঁছেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। আশা ছিল ২০১১ সালের মতো সেবারও জিতে নেবে এই শিরোপা। কিন্তু অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে হেরে রানার্স আপই থাকতে হয় তাদের।

এসএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।