ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ছাপিয়ে সপ্তম স্থানে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় লাভের মাধ্যমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ছাড়িয়ে সপ্তম স্থানে ওঠা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের টাইগাররা। বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ভারতকে ৭৯ রানে হারায় স্বাগতিকরা। প্রথমে ব্যাট করে ৩০৭ রানের ইনিংস গড়ে স্বাগতিকরা। পরে টাইগারদের বোলিং ঝড়ে ২২৮ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।
আর এই জয়ই বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের ওয়ানডে ইতিহাসের রেকর্ড। কারণ এর আগে এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে আইসিসি র্যাংকিংয়ে সাত নম্বরে উঠে আসেনি বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরুর আগে মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের রেটিং পয়েন্ট ছিল ৮৮। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্টও ছিল ৮৮, তবে ভগ্নাংশের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সপ্তম স্থানে ছিল ক্যারিবীয়রা।
র্যাঙ্কিংয়ে এগোনোর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগামী আসরে বাংলাদেশের খেলার সম্ভাবনা আরও বাড়ল। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ২০১৭ সালের ১ থেকে ১৯ জুনে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও র্যাঙ্কিংয়ের অন্য শীর্ষ সাত দল খেলবে। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে সেরা আটে থাকতে পারলে তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ মিলবে বাংলাদেশের।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পর বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলবে র্যাঙ্কিংয়ের চারে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। আর পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও খেলবে। এই সিরিজগুলোই নির্ধারণ করবে তিন দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভাগ্য।
তবে ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ এবং আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ, মোট এই ৫ ম্যাচের একটিতে জিতলেই ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা পুরোপুরি নিশ্চিত হবে টাইগারদের।
এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ও পরের বছর নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করায় আইসিসির ওডিআই র্যাংকিংয়ে ৮ম স্থানে উঠেছিল বাংলাদেশ। পরে অবনমন হলেও ২০১২ সালে হোম সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে আগের অবস্থান পুনরুদ্ধার করে সাকিব-তামিমরা।
টিআই