ইউএস ওপেন থেকে নাম প্রত্যাহার করলেন বিশ্বের এক নম্বর তারকা

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৮ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২০

করোনাভাইরাসে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এখনও দেশটিতে হাজার হাজার আক্রান্ত এবং হাজার হাজার মানুষ মৃত্যু বরণ করছে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে দেড় লাখ। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আয়োজন করতে যাচ্ছে টেনিসের অন্যতম জনপ্রিয় গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্ট, ইউএস ওপেন।

কিন্তু করোনাভাইরাসের মধ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে আগামী মাসে শুরু হতে যাওয়া ইউএস ওপেন থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নারীদের মধ্যে বিশ্বের এক নম্বর তারকা অ্যাশলে বার্টি। কঠিন হলেও বিপদ থেকে বাঁচতে এই সিদ্ধান্ত খানিকটা তাকে জোর করেই নিতে হয়েছে বলে জানালেন অস্ট্রেলিয়ান এই টেনিস তারকা।

নিজ দেশের সংবাদমাধ্যমে বার্টি জানিয়েছেন, ‘আমি এবং আমার টিম চলতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো টুর্নামেন্ট এবং ইউএস ওপেন খেলতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইউএস ওপেন আমার খুব পছন্দের একটি ইভেন্ট। তবু সেখানে গেলে একটা ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। করোনা আবহে আমি এবং আমার টিম সেখানে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে মোটেই নিরাপদ বোধ করছি না।’

প্রথম সারির টেনিস তারকা হিসেবে ২০১৯ ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন বার্টিই প্রথম, যিনি ইউএস ওপেন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন।

তবে টুর্নামেন্ট যাতে নির্বিঘ্নে এবং নিরাপদে সম্পন্ন হয়, সে জন্য যুক্তরাষ্ট্র টেনিস অ্যাসোসিয়েশনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অসি টেনিস তারকা বার্টি। মার্চ-এপ্রিলের তুলনায় নিউ ইয়র্কে আক্রান্তের হার বর্তমানে অনেকটা কম থাকলেও ফ্লোরিডা, টেক্সাস, ক্যালিফোর্ণিয়ার মতো জায়গাগুলো বর্তমানে করোনার হটস্পট।

এ কারণেই ইউএস ওপেন থেকে নাম প্রত্যাহারের ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্ত-সমর্থকদের সমর্থন আদায় করে নিয়েছেন বার্টি। ৪৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ যে দেশে করোনা আক্রান্ত, সে দেশে বার্টির খেলতে না যাওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত’ বলেই বিবেচিত করেছেন অনুরাগীরা। আগামী ৩১ অগস্ট থেকে শুরু হয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইউএস ওপেন অনুষ্ঠিত হবে ফ্লাশিং মিডোয়।

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।