আহত অর্ধশতাধিক

মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে চবি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৮:৪০ এএম, ৩১ আগস্ট ২০২৫

মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেইট সংলগ্ন এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এক নারী শিক্ষার্থী রাতে দেরি করে তার ফ্ল্যাটে প্রবেশ করলে তাকে মারধর করেন বাসার দারোয়ান। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত হয়।

এদিকে এ ঘটনায় আজ ৩১ আগস্ট (রোববার) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের পরীক্ষাও ছিল।

মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে চবি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলা

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ সেশনের এক নারী শিক্ষার্থী ২নং গেইট সংলগ্ন এলাকায় রাত ১২টায় বাসায় ঢুকতে চাইলে দারোয়ানের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান তাকে মারধর করেন। এসময় আশপাশে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তা দেখে এগিয়ে যান। তখন সেই নারী শিক্ষার্থী তার এক ছেলে বন্ধুকে মুঠোফোনে ডেকে আনলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়।

আরও পড়ুন-

এসময় ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর জন্য লোকজন জড়ো করেন। এসময় ২নং গেইট সংলগ্ন বাচামিয়ার দোকানের সামনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে হামলা চালান স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বহু শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়।

মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে চবি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলা

স্থানীয় বাসিন্দাদের হামলায় অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ২০ শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে।

চবি মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, বহু শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। আমরা তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। যাদের অবস্থা খুবই গুরুতর আমরা তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, আমরা রাতেই আমাদের একাধিক নিরাপত্তা টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় তাদেরকে এক জায়গায় এনে দিক নির্দেশনা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। সময়মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতিও ছিল না।

সোহেল রানা/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।