বিএফআরআইয়ের অবদানে বিলুপ্তপ্রায় মাছ রক্ষা পাচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) গবেষকদের গবেষণার ফলে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মাছ রক্ষা পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ। তিনি বলেছেন, অতীতে মৎস্য সম্পদের যে অপ্রতুলতা ছিল ইনস্টিটিউটের গবেষকদের অবদানে এখন তা পূর্ণতা পেয়েছে। বর্তমানে আগের তুলনায় মাছের ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে।
শনিবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত মৎস্য প্রযুক্তি মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রজননের মাধ্যমে দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছ থেকে হাজার হাজার রেণু পোনার সৃষ্টি হচ্ছে। রেণু পোনাগুলো প্রকৃতিতে বাঁচিয়ে রাখতে গবেষকদের গবেষণার কাজে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশ এখন মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এসব কিছুর কৃতিত্ব বাংলাদেশের মাছ চাষি এবং মাছ গবেষকদের।
তিনি আরও বলেন, বিএফআরআই গবেষকদের গবেষণা কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব গবেষকদের গবেষণা অন্য কেউ চুরি করে পুরস্কার যাতে নিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিএফআরআই গবেষণা কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০২০ সালে একুশে পদক পেয়েছে। মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বিএফআরআইয়ের গবেষণা আগামীতে স্বাধীনতা পদক অর্জনের দাবি রাখে।
বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিএফআরআইয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী মৎস্য প্রযুক্তি মেলা পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় কৃষকদের মাঝে দেশীয় মাছের রেণু পোনা বিতরণ করেন।
এমআরআর/জিকেএস