ঢাকা কলেজ-আইডিয়াল কলেজ ছাত্রদের ফের মারামারি, আহত ৭

রাজধানীর ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফের মারামারি হয়েছে। এতে আহত হয়েছে ঢাকা কলেজের পাঁচ এবং আইডিয়াল কলেজের দুই ছাত্র।
বুধবার (২২ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ধানমন্ডি ৩ নম্বর রোডের লেকপাড়ে এই ঘটনা ঘটে। তবে মারামারির সুনির্দিষ্ট কারণ বলতে পারেনি পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতা বা তুচ্ছ ঘটনার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার আইডিয়াল কলেজের কোনো এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে ঢাকা কলেজের কয়েকজন ছাত্র, এমন খবর আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পরে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা ধানমন্ডি লেকপাড়ে ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দেখতে পেয়ে বাঁশ নিয়ে হামলা করে। এতে ঢাকা কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থী এবং আইডিয়াল কলেজের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও কলেজ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: নির্যাতনের খবর গণমাধ্যমে: ভুক্তভোগীকেই সতর্ক করলো কলেজ কর্তৃপক্ষ
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শেখ কাজল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমি ধানমন্ডি ৩ নম্বর রোড দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি আইডিয়াল কলেজের ১৫-২০ জন ছাত্র বাঁশের লাঠি নিয়ে ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারছে। একটা ছেলেকে অনেক মেরেছে, সে অসুস্থ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক ও ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক পুরঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, এমন ঘটনা ঘটতে পারে, এ আশঙ্কায় আমরা (নিবিড় পর্যবেক্ষণ কমিটির সদস্যরা) সকালে ওই এলাকা ঘুরে এসেছি। কলেজে আসার পর শুনি ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে, সবাই বাসায় ফিরে গেছে।
জানতে চাইলে আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা শুনেছি, মারামারির ঘটনা ঘটেছে। কী কারণে ঘটেছে সেটি জানি না। আমরা বসবো এটা নিয়ে। তদন্ত সাপেক্ষে বলতে পারবো কী হয়েছে।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আমরা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। ক্যাম্পাসের বাইরের এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। কেউ দোষী হলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
নিউমার্কেট জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ্ বলেন, সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওখানে যারা খেতে গেছে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি-হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসব করে না। পারসোনাল সময়ে এসব করে, পরে ক্যাম্পাসে টেনে নিয়ে আসে।
নাহিদ হাসান/এমএইচআর/এএসএম