ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতন

তিন অভিযুক্তের কারণ দর্শানোর জবাব দাখিলের সময় বৃদ্ধি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাতভর ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থীকে আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে কারণ দর্শানোর জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

গত ১৫ মার্চ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এইচ এম আলী হাসান। তিনি বলেন, অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে আর সময় বাড়ানো হবে না। তবে তারা যদি আইনের আশ্রয় নিয়ে কিছু করে সেটা আলাদা বিষয়। আইনের ঊর্ধ্বে তো কেউ নয়।

তিনি আরও বলেন, তাদের ডাকযোগে, বিভাগে এবং সরাসরিও বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইবিতে নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ছাত্রলীগ নেত্রীর

জানা যায়, ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় গত ৪ মার্চ ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১৫ মার্চের মধ্যে অভিযুক্তদের জবাব দিতে বলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মুয়াবিয়া জাহান জবাব দেন।

অপরদিকে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার উর্মি জবাব না দিয়ে এক মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। একইসঙ্গে তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদনের নথিপত্র চেয়ে আবেদন করেন।

আরও পড়ুন: নির্যাতনের শিকার ইবি ছাত্রীকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও সাত-আটজন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। পরে এ ঘটনায় গত ৪ মার্চ ইবির পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও একই বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান।

আরও পড়ুন: ছাত্রী নির্যাতন: কী ঘটেছিল সেই রাতে?

এর মধ্যে সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। অন্যরা ছাত্রলীগের কর্মী। এছাড়া নির্যাতনের ঘটনায় ওই পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

রুমি নোমান/এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।