চাঁদার জন্য নির্যাতন

যবিপ্রবির অভিযুক্ত ২ ছাত্রের বিরুদ্ধে হল প্রাধ্যক্ষের মামলা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ০৮:৪০ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০২৩

হলে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান জাহিদ সোমবার (৩ এপ্রিল) রাতে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন।

দুই আসামি হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সালমান এম রহমান ও শোয়েব আলী। তবে তাদের কাউকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

ইসমাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পলাশপুর গ্রামে। রোববার শহীদ মসিয়ূর রহমান আবাসিক হলের ৫২৮ নম্বরকে তাকে চার ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় ওই কক্ষ থেকে অচেতন অবস্থায় সহপাঠীরা ইসমাইলকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হল প্রাধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান জাহিদ বলেন, নির্যাতনের শিকার ইসমাইল হোসেন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীর বিচার দাবি করে উপাচার্যের কাছে লিখিত আবেদন করেন। ওই আবেদনের কপি দিয়ে উপাচার্য থানায় নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেন। এরপর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করি।

আরও পড়ুন: হলে আটকে রেখে নির্যাতন: যবিপ্রবির ২ ছাত্র বহিষ্কার

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে দুই ছাত্রকে আর ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এক ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দুজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শোয়েব ও সালমান ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

তবে মামলার বিষয়ে অভিযুক্ত সোয়েব আলী দাবি করেন, ‘ইসমাইল তাদের বন্ধু। তাকে তারা মারধর করেননি। একটি ঘটনা জানার জন্য ইসমাইল তাদের সঙ্গে রুমে যান। কিন্তু ওই ঘটনায় জড়িত বড়ভাইয়েরা এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ওই তিন বড়ভাই তাদের রুমে এসে ইসমাইলকে মারধর করেছে। অথচ ঘটনাটি ঘুরিয়ে দিয়ে তাদেরকেই (সোয়েব ও সালমান) দোষি করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে হলে আটকে রেখে নির্যাতন, ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি

সোয়েব আরও বলেন, ‘ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো বক্তব্য বা জবাবদিহিতা না নিয়েই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমরা অবিচারের শিকার হয়েছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, হলের প্রভোস্ট বডি ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল থেকে জড়িত দুই ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তাদের স্থায়ী বহিষ্কার ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া হিসেবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মিলন রহমান/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।