জাবির হল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র অপসারণের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জাবি
প্রকাশিত: ০৬:২১ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলগুলোতে বারবার আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো থেকে আগ্নেয়াস্ত্র অপসারণের দাবি তুলেছেন তারা।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান হৃদয় স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আবাসিক হলগুলোতে আগ্নেয়াস্ত্রের ঝনঝনানি এখন দৈনন্দিন ঘটনায় পরিণত হবার পথে। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী হয়েও আবাসিক হলে টর্চার সেল পরিচালনা করার মতো ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকিস্বরূপ। এগুলো ক্ষমতার অসুস্থ বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়।

আরও পড়ুন: আল নাহিয়ান খানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ

আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের বেপরোয়া আচরণ, ক্ষমতার অসুস্থ বহিঃপ্রকাশ শীর্ষক বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিচারহীনতার দীর্ঘ সংস্কৃতি ছাত্রলীগকে দিনকে দিন আরও বেপরোয়া করে তুলছে। ক্ষমতা কাঠামো টিকিয়ে রাখতে ছাত্রলীগ ও প্রশাসন আজ যৌথ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। যার ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ছাত্র নিপীড়নের ঘটনা উল্লেখ করে বলা হয়, গত ১৬ ও ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম বরকত হলে শিক্ষার্থী সায়েম হাসানকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে নিপীড়ন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে প্রশাসনের নীরবতায় বাধ্য হয়ে সায়েম আদালতে মামলা করেন।

এদিকে মধ্যরাতে হলের কক্ষে ডেকে নিয়ে শাখা ছাত্রলীগের উপ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান ইমনকে মারধরের বিষয়ে বলা হয়, গত ১৩ আগস্ট মওলানা ভাসানী হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা ইমনের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে ৪১ ব্যাচের সাবেক ছাত্র আরমান খান যুবোর বিরুদ্ধে। নির্যাতনের সময় তার পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজ দলীয় নেতা হওয়ার পরেও ছাত্রলীগ নিপীড়নকারীকে বাঁচাতেই তৎপর ভূমিকা পালন করছে।

যুক্ত বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ইমতিয়াজ অর্ণব ও সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় বলেন, প্রশাসনের কার্যক্রম এখন শুধুই লোক দেখানো। অকার্যকর ‘তদন্ত কমিটি’ গঠনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কাজেই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ।

নিপীড়নের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে শহীদ সালাম-বরকত ও মওলানা ভাসানী হলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে অছাত্রদের হল থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং গণরুম-গেস্টরুম প্রথা বাতিল করতে হবে।

মাহবুব সরদার/আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।