রাবি শিক্ষক ফোরাম
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা-মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
রোববার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশ থেকে আজ গণতন্ত্রবিলীন হয়ে গেছে। অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও একজনকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। দেওয়া হচ্ছে না উন্নতমানের চিকিৎসাও। একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। খালেদা জিয়াকে এভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে ক্রমেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার।
এটিকে প্রতিহিংসার রাজনীতি উল্লেখ করে এই ‘ঘৃণ্য রাজনীতি’ থেকে সরে এসে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানান বক্তারা।
এসময় মানববন্ধনে রাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা) বলেন, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। সেখানে অসুস্থ অবস্থায় তিনি দিন পার করছেন। তার বর্তমানে যে শারীরিক অবস্থা তা দেখে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেছেন, এদেশে তার চিকিৎসা সম্ভব না। চিকিৎসার অজুহাতে তাকে আটকে রাখা হয়েছ।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত প্রতিহিংসারও শিকার। কারণ প্রধানমন্ত্রী এক জায়গায় বলেছেন বিএনপি আবার বাড়াবাড়ি করলে তাদের জেলে ঢোকানো হবে। আমরা মনে করি, এসব হিংসার ঊর্ধ্বে উঠে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হোক।
রাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, আজকের মানববন্ধনের মূল উদ্দেশ্য হলো মাদার অব ডেমোক্রেসি, আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো। তিনি দিনের পর দিন হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় অতিবাহিত করছেন। আর এই সরকার এটা নিয়ে টালবাহানা করছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতিকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলেন। তিনি একটা শর্ত দিয়েছিলেন। আমার নেত্রীকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিলে আমি আপনার চায়ের দাওয়াতে যাবো। মুমূর্ষু খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে হবে। যদি তার কিছু হয়ে যায় এর দায়ভার এই সরকারকে বহন করতে হবে।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাসুদুল হাসান খান মুক্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, সংগঠনের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রেজাউল করিম, সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পারভেজ আজহারুল হক প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক কামরুজ্জামান, সদস্য অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, সদস্য অধ্যাপক সোহেল হাসান, সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক মামুনুর রশীদ, উপদেষ্টা অধ্যাপক শাহেদ জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন। এসময় ফোরামের অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
মনির হোসেন মাহিন/এমআরআর/এএসএম