ছাত্রলীগের বিচার দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের মাধ্যমে সংঘটিত সব কর্মকাণ্ডের যথাযথ বিচার ও তাদের প্রশাসনিক সহযোগীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। এসময় ছাত্রদল পক্ষ থেকে ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। এসময় নেতাকর্মীদের হাতে বিচারের দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনের নেতৃত্বে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন তারা। উপাচার্যের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।

স্মারকলিপিতে ঢাবি ছাত্রদলের নেতৃদ্বয় বলেন, দীর্ঘ দেড় দশকের এ ফ্যাসিবাদী শাসনামলে গণরুম, গেস্টরুম নামক নির্যাতনমুখী অপসংস্কৃতি এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের জোর-জবরদস্তি করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ধরে নিয়ে যাওয়ার অরাজনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে ঢাবি ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ। ফ্যাসিস্ট হাসিনার মদদপুষ্ট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিরোধী সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছে, যার ফলে অসংখ্যবার রক্তে রঞ্জিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পবিত্র ভূমি।

ছাত্রলীগের বিচার দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

‘অকথ্য নির্যাতন ও নিয়মিত হুমকি-ধামকির মাধ্যমে সৃষ্ট ভীতিকর পরিবেশের কারণে অপূরণীয় শারীরিক, মানসিক ও একাডেমিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ অসংখ্য সাধারণ শিক্ষার্থী। এমনকি বিভিন্ন সময়ে তাদের এহেন হামলা ও হেনস্তা থেকে রক্ষা পাননি নীতিপরায়ণ শিক্ষার্থীবান্ধব শ্রদ্ধেয় শিক্ষকেরাও। বিগত ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা করে গুরুতর আহত ও চিরতরে অন্ধ বা পঙ্গু করেছে। আর ছাত্রলীগের এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে মদদ ও সহায়তা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই।’

মামলা করলেও কেউ বিচারের আওতায় আসছে না দাবি করে নেতৃদ্বয় বলেন, এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এসব সন্ত্রাসী ও তাদের সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে বিগত ৫ আগস্টের আগে ও পরে থানা-আদালতে মামলাও দায়ের করে রেখেছেন ভুক্তভোগী অনেক শিক্ষার্থী। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এ যে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার প্রায় ৬ মাস অতিবাহিত হলেও সেসব মামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।

স্মারকলিপিতে ছাত্রলীগ ও তাদের প্রশাসনিক সহযোগীদের শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে বিচারহীনতার এ সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন নেতৃদ্বয়।

এমএইচএ/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।