‘আমার সঙ্গে ১৯ জন ছিলেন, সবাই তলিয়ে গেছে’

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
প্রকাশিত: ০৪:০৮ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২৫

‘আমার নাম মোরশেদ (২০), বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী। আমার সঙ্গে ১৯ জন ছিলেন, সবাই তলিয়ে গেছে’। এসব বলে অজ্ঞান হয়ে যান মোরশেদ। বঙ্গোপসাগরে পাঁচদিন ভেসে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন তিনি। তিনি কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে বঙ্গোপসাগরের পায়রা বন্দর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে এফবি সাজেদা ট্রলারের মাঝি সোবহান ভাসমান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে এফবি বায়েজিদ ট্রলারে উঠিয়ে দেন।

ট্রলারের মাঝি আকবর হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে আমরা সমুদ্রে মাছ শিকারে গেলে হঠাৎ বৈরী আবহাওয়া শুরু হলে তীরে ফিরছিলাম। পরে সাজেদা নামে একটি ট্রলারে অসুস্থ ওই জেলেকে তুলে দেন। পরে তাকে সমুদ্র থেকে নিয়ে আসি।’

এফবি বায়েজিদ ট্রলারের জেলে সিরাজ বলেন, ‘আমরা যখন তাকে উদ্ধার করি তখন তিনি মুমূর্ষু। পরে তাকে গরম কাপড় দিয়ে আটকে রাখি। তৈল মালিশ করে কিছুটা সুস্থ করি। এরপর তিনি নাম আর ঠিকানা বলে আবার অজ্ঞান হয়ে পড়েন।’

কুয়াকাটা ২০ শয্যার হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সুপ্রি দাশ বলেন, ‘দুপুর দেড়টার দিকে সাগরে ভাসা অজ্ঞান অবস্থায় এক জেলেকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।’

কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘উদ্ধারের পর আমরা মোরশেদকে কুয়াকাটা হাসপাতালে পাঠাই। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।