ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক

৮ ঘণ্টার যানজটে নাকাল যাত্রী-চালকরা

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৮:৫২ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২৫

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ অংশে কাঁচপুর থেকে আউখাব পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের কারণে ৮ ঘণ্টা ধরে ভুগতে হয়েছে যাত্রী ও চালকদের।

বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে যানজট শুরু হয়। বিকালে ৭-৮ কিলোমিটার রাস্তায় যানজট থাকলেও সন্ধ্যার দিকে তা ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এ সময় মহাসড়কের উভয়দিকে যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। রাত্র ৮টার দিকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে। ৮ ঘণ্টা পর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

যাত্রী সিফাতুল মারুফ বলেন, দুপুর ১২টার দিকেই যানজটের সূত্রপাত হয়। তখন আমার বরপা থেকে কাঁচপুর আসতে সময় লেগেছিল দেড় ঘণ্টা। এখন রাত্র সাড়ে ৭টা বাজে, সেই জ্যামই দেখছি। জানি না এখন বাড়ি যেতে কয় ঘণ্টা লাগবে।

মহাসড়ক সংলগ্ন চায়ের দোকানি মশিউর বলেন, দুপুর ১২টা থেকেই দেখতেছি এই যানজট। রাত্র ৮টা বাজে এখনো শেষ হয়নি।মানুষ যে কি দুর্ভোগ পোহাইতাছে?

যাত্রী শাহীনা আক্তার বলেন, বিকেল ৬টায় যাত্রাবাড়ী থেকে বাসে চড়েছি। রাত্র ৮টা বাজে এখনো বরপা পার হতে পারিনি। দূরের পথ কখন যে পৌঁছাব চিন্তা লাগছে।

মিতালী পরিবহনের চালক মোজাম্মেল হক বলেন, ১১টায় সিলেট থেকে ছেড়ে সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা পৌঁছানোর কথা। এখন বাজে ৮টা। ২ ঘণ্টা ধরে জ্যামে আটকা আছি।

শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, রাস্তার অনেকাংশে কাজ চলছে। তার ওপর আবার অতিবৃষ্টির কারণে খানাখন্দে রাস্তার বেহাল অবস্থা। আবার আগে যাওয়ার জন্য নিয়ম ভেঙে চালকরা বিপরীত রুটে গাড়ি ঢুকিয়ে একাধিক লাইন করার কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে আমাদের হাইওয়ে পুলিশের জনবল ও ঘাটতি রয়েছে। তাই সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে।

নাজমুল হুদা/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।