সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ এলে পদত্যাগ করবো: সিইসি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
প্রকাশিত: ১১:৪৮ এএম, ২৩ আগস্ট ২০২৫
রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনৈতিক চাপ এলে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।

শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে মতবিনিময় সভার আগে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখনকার নির্বাচন কমিশন কোনো পক্ষপাতিত্ব করছে না। তারা আইন অনুযায়ী নিউট্রালি কাজ করতে চায়। যেহেতু আগের সিইসি, নির্বাচন কমিশন থেকে অনেক কিছু চেয়েছে, আমাদের এখন সেরকম কোনো সমস্যা নেই। এই সরকার এখন পর্যন্ত চায়নি। আমাদের বলতে দ্বিধা নেই, যেদিন সরকার চাইবে সেদিন নাসির উদ্দিন এই চেয়ারে থাকবে না। যেদিন সরকার চাইবে তার মতো করে কাজ করতে, আমাকে এই চেয়ারে দেখবেন না। সেই গ্যারান্টি আমি দিতে পারি।

তিনি আরও বলেন, বিগত নির্বাচনে যারা অনিয়ম করেছিলেন, সেইসব নির্বাচন কর্মকর্তাদের রাখা হবে না। নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৫৭০০ কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা আগেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এদেরকে কোথায় পাঠাবো? তবে যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সিইসি বলেন, নির্বাচন হবে কি হবে না এ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের ভেতর আমরা যেতে চাই না। প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগে যাতে নির্বাচন হয় তার জোর প্রস্তুতি চলছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়ে গেছে। ভোটের জন্য কেনাকাটা এগিয়ে চলছে। সীমানা নির্ধারণের খসড়াও প্রকাশ করেছি। আগামী রোববার থেকে নির্বাচনী সীমানার শুনানি শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি চলবে।

আরও পড়ুন-

কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এ বিতর্ক নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। সংবিধানের বাইরে আমরা যেতে পারি না। এটা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। আমি এর মধ্যে ঢুকতে চাই না। যদি আইন পরিবর্তন হয় তাহলে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করছি। সেনাবাহিনী যাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপার যারা এর আগে নির্বাচনের দায়িত্বে ছিল, তাদের পদায়নের চিন্তা নেই।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, ভোট আসতে আসতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। যারা বাক্স দখল করার স্বপ্নে বিভোর, তাদের স্বপ্নভঙ্গ হবে। যারা অস্ত্রবাজি করে ভোটে জিততে চাইবেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ। ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস ভুলে যান। আমরা কঠোর অবস্থানে থাকবো। ভোটকেন্দ্র দখল করলে পুরো ভোট বাতিল করা হবে।

সাখাওয়াত হোসেন/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।