পাগলা মসজিদের দানবাক্স

সাড়ে ৮ ঘণ্টা গণনায় পাওয়া গেলো ১১ কোটি টাকা, এখনো চলছে গণনা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৬:৫৪ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২৫
চলছে টাকা গণনার কাজ/ছবি-জাগো নিউজ

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে দানবাক্স থেকে পাওয়া ৩২ বস্তা টাকা সাড়ে আট ঘণ্টা গণনা শেষে ১১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এখনো চলছে গণনার কাজ।

শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল সোয়া ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। পরে ৯টা থেকে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে শুরু হয় গণনার কাজ। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গণনা করে ১১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।

রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ আলী হারেছী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাড়ে ৮ ঘণ্টা গণনায় পাওয়া গেলো ১১ কোটি টাকা, এখনো চলছে গণনা

তিনি জানান, বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গণনায় ১১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমা করার জন্য এ টাকাগুলো রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে।

এজিএম আরও জানান, এখনো গণনার কাজ চলছে। এতে প্রায় ৫০০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

সাড়ে ৮ ঘণ্টা গণনায় পাওয়া গেলো ১১ কোটি টাকা, এখনো চলছে গণনা

এর আগে, গত ১২ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স থেকে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

ঐতিহাসিক এই মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এত টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার আরও কয়েক কোটি টাকা বেশি পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ। এবারও টাকার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে।

এসকে রাসেল/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।