জনগণ নির্বাচিত সংসদ ও সরকার দেখতে চায়: আমীর খসরু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৯:১৪ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০২৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

জনগণ নির্বাচিত সংসদ ও সরকার দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের রনদা প্রসাদ সাহার দুর্গা মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

পিআর পদ্ধতির নির্বাচন নিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পিআর পদ্ধতি কেউ চাইতেই পারে। এটি বিএনপি দেওয়ার কেউ না অন্য দলেরও দেওয়ার কেউ না। আমরা যেখানে ঐকমত্য হয়েছি, তার বাইরে যদি কেউ কিছু চায় সেটার অধিকার আছে। কিন্তু সেটি করতে হলে তাদের জনগণের কাছে যেতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে আসতে হবে। এর বাইরে কিছু করার নেই।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন যথা সময়ে না হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জনগণ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। একটি নির্বাচিত সংসদ ও সরকার দেখতে চায় তারা।

বিএনপি নেতা বলেন, অনেক বড় কর্মযজ্ঞ আমরা হাতে নিয়েছি। নির্বাচনে জনগণ যদি আমাদের রায় দেয় তাহলে প্রথম ১৮ মাসের মধ্যে ১ কোটি কর্মসংস্থান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি কীভাবে বাস্তবায়ন করবো সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন
ড. ইউনূস আ’লীগ ফেরানোর স্টেটমেন্ট দিয়ে সুশীল সাজার চেষ্টা করছেন
এক দেশের সরকারপ্রধানকে আরেক দেশে অসুর বানানো অসম্মানজনক

আমীর খসরু বলেন, সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধ নেই। ফলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দেশে-বিদেশের সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায়। নির্বাচনের পরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসবে। আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন হবে, আমদানি-রপ্তানি বাড়বে এবং স্বাস্থ্য ও সেবাসহ যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো সমাধান হবে।

তিনি বলেন, দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ বিএনপিরই প্রস্তাব। এই প্রস্তাব আট বছর আগেই দেওয়া আছে। তিন বছর আগে ৩১ দফায় আবারও দেওয়া হয়েছে।

এসময় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালসহ দলটির অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুল্লাহ আল নোমান/এনএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।