করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তির পরই মারা গেলেন নারী
ডায়বেটিস ও হাপানিসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তির ৭ মিনিট পর মারা গেছেন মোমেনা বেগম (৪৫) নামে এক নারী। তিনি রামু উপজেলার গর্জনিয়ার নুরুল হকের স্ত্রী।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহীন আবদুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার আগে মোমেনা বেগমকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তার হাপানির প্রকোপ বেড়ে শ্বাসকষ্ট ছিল। অক্সিজেনের মাত্রা ছিল মাত্র ৮০ শতাংশ। ডায়বেটিসও প্রচণ্ড বেড়ে গিয়েছিল। জরুরি বিভাগে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে তাকে আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে নেয়ার মিনিট সাতেকের ভেতর তিনি মারা যান।
পরিবারের বরাত দিয়ে আরএমও আরও বলেন, অসুস্থ মোমেনা প্রথমে গ্রাম্য এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন। এরপরও কোনো কূল না পেয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য সহকারীর কাছে যান। তিনি সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ক্লিনিক্যাল ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শাহজাহান নাজির জানান, মারা যাওয়া রোগীর হার্ট, ডায়বেটিস ও অ্যাজমার সমস্যা ছিল। তার ডায়বেটিসের মাত্রা ছিল ৫০০ মিলিগ্রাম। তবুও করোনার সময় যেহেতু মারা গেছেন তাই করোনা টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মহি উদ্দিন জানান, ভর্তির ৭ মিনিটের মধ্যে মারা যাওয়া নারী মোমেনার নিয়মিত সমস্যাগুলোর মাঝে করোনার লক্ষণ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শনিবার পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে জানা যাবে তিনি করোনার উপসর্গ বহন করছিলেন কি না।
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/জেআইএম