আজও ফেরি বন্ধ রয়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায়
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে আজও বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। এতে করে দৌলতদিয়া প্রান্ত দিয়ে নদী পার হতে আসা যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চালকরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
বুধবার সকালে দৌলতদিয়া প্রান্তে দেখা যায়নি কোনো ট্রাকের সিরিয়াল। তবে যাত্রী পারাপার নিয়ন্ত্রণে নৌ-পুলিশকে ঘাট এলাকায় দ্বায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
এদিকে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে রাতে সীমিত আকারে ফেরি চললেও ভোর থেকে তা বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। তবে জরুরি বাহন অ্যাম্বুলেন্স পারাপারে চালু রয়েছে ছোট দুইটি ফেরি। সে সুযোগে কিছু যাত্রী পার হয়ে আসছে নদী।
ঈদ মৌসুম হওয়ায় গত কয়েকদিনে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের উভয় ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় হয়। পাশাপাশি চাপ বেড়ে যায় ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি দেখা দেয়। ফলে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে গতকাল সকাল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এছাড়া গত ২৬ মার্চ থেকে এরুটে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল।
ঢাকামুখি ও ঘরমুখো যাত্রীরা জানান, জরুরি প্রয়োজনেই তারা আসা যাওয়া করছেন। কেউ চাকরি বাঁচাতে, কেউ বেতন আনতে আবার কেউ পরিবার পরিজনের কাছে যাচ্ছেন। কিন্তু হঠাৎ করে ফেরি বন্ধ করে দেয়ায় তারা বিপদে পড়েছেন। অনেক দূর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ঘাটে এসেছেন। কিন্তু এসে দেখেন ফেরি বন্ধ।
নৌ-পুলিশ ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমীত চৌধুরী বলেন, নৌ-পুলিশের আইজিপি ও ডিআইজিপির নির্দেশে তারা এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মানুষ যেন যাতায়াত করতে না পারে সেজন্য দৌলতদিয়া ঘাটে দায়িত্ব পালন করছেন। অ্যাম্বুলেন্সগুলোও তারা চেক করে পারাপার করছেন। অনেকে বিভিন্ন অজুহাতে অ্যাম্বুলেন্সে আসছেন। যারা দুই মাস, তিন মাস ও চার মাস আগের প্রেসক্রিপসন নিয়ে আসছে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া নদীতেও রয়েছে তাদের টহল টিম।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মাহবুব হোসেন জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাতে পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার করে ভোরে আবার তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স পারাপারে দুইট ফেরি চলাচল করছে। আজ ঘাটে কোনো চাপ নেই।
রুবেলুর রহমান/এফএ/পিআর