কঠোর অবস্থানে বরিশাল জেলা প্রশাসন, মাস্ক না পরলেই জরিমানা
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে বরিশাল জেলা প্রশাসন। মাস্ক না পরলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কঠিন সাজা দেয়া, সব ধরনের সভা-সমাবেশ আয়োজন থেকে বিরত থাকা, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন, যাত্রার আগে এবং গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গণপরিবহন জীবাণুনাশক স্প্রের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ বেশকিছু বিষয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এসব বিষয়ে শিথিলতা দেখালে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ জেলা কমিটির সভা থেকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন করোনাভাইরাস প্রতিরোধ বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাইদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মোক্তার হোসেন ও সিভিল সার্জন মনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে উপস্থিত সদস্যদের মতামত ও পরামর্শ নেন জেলা প্রশাসক। বিস্তারিত আলোচনার পর সবার মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে, মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে গত কয়েক দিনের মতো বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাস্ক না পরে বাইরে বের হওয়ায় ৫৩ জনকে আট হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পৃথক দলে বিভক্ত হয়ে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম মজুমদার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। তাদের সহায়তা করে মেট্রোপলিটন পুলিশের দুটি দল।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম মজুমদার বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নগরীর সদর রোড, বিএম কলেজ রোড, নথুল্লাবাদসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় মাস্ক না পরে বাইরে বের হওয়ায় ৫৩ জনকে আট হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহারে জনসাধারণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন দোকানে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ লেখা ব্যানার ও বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
সাইফ আমীন/এএম/এমকেএইচ