নাগালের বাইরে ভোজ্যতেল, পানির দরে কপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০২:৪৭ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

রংপুরের বাজারে সবজিতে স্বস্তি মিললেও দিনদিন বেড়েই চলেছে চাল ও তেলের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে বিস্তর ফারাক রয়েছে চাল ও তেলের দামে। এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রংপুর সিটি বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট চাল ৫৯-৬৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা। নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬৪-৬৬ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬২-৬৪ টাকা। তবে গুটি স্বর্ণা ও পাইজাম গত সপ্তাহের মতোই ৪২-৪৪ টাকা ও ৪৪-৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের মতোই এখনো স্থির হয়নি তেলের বাজার। কোম্পানিভেদে বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৩০-১৪০ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ১৩০-১৩৫ টাকা ছিল।

বোতলজাতের মতো খোলা তেলও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ১১৮-১২০ টাকা লিটার বিক্রি হলেও শনিবার তা ১২০-১২২ দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে মসলার দাম স্বাভাবিক রয়েছে বলেন জানান সিটি বাজারের ব্যবসায়ী আসলাম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সপ্তাহের ব্যবধানে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েই চলেছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে যে তেল বিক্রি করেছি ৮০ টাকা, এখন তা ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।’

তেল কিনতে আসা আহসান হাবীব বলেন, ‘দিন দিন যেভাবে তেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে জনসাধারণের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। আয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

তবে রংপুরে সবজির পাইকারি ও খুচরা বাজার নিম্নমুখী রয়েছে। এতে করে ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩০-৩২ টাকা, রসুন ১০০-১১০ টাকা, মসুর ডাল ৯০-৯৫ টাকা, ফুলকপি ৬-৭ টাকা (প্রতি পিস), বাঁধাকপি প্রত পিস ৫-৬ টাকা, শসা ২৮-৩০ টাকা কেজি, টমেটো ২০-২৫ টাকা কেজি, কাঁচা পেঁপে ১২-১৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪৩-৪৫ টাকা, শিম ২০-২২ টাকা, বেগুন ৩২-৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৪৫-৫০ টাকা এবং লাউ ২০-২২ টাকা (প্রতি পিস) এবং নতুন আলু ১২-১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

jagonews24

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৫ দিন আগেও এক কেজি ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই কপির জোড়া পাইকারি ১০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে এর দাম আরও একটি বেশি হলেও কৃষক পর্যায়ে কপি বিক্রি হচ্ছে পানির দরে। প্রতি পিস কপি ২ থেকে ৩ টাকা দরে কিনে আনছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

নগরীর কামালকাছনা বাজারের বিক্রেতা আব্দুর সোবহান বলেন, ‘পাইকারি বাজার থেকে প্রতি পিস কপি ৫-৬ টাকা দরে কিনে ৮-১০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবুও কপির চাহিদা নেই বললেই চলে।’

বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, একমাস আগের চেয়ে সবজির দাম কেজি প্রতি ২০-২২ টাকা কমে গেছে। বাজারে পর্যাপ্ত তাজা সবজি উঠছে। সবজির দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতারাও অনেক খুশি।’

ক্রেতা শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, দুই মাস আগেও সবজির দাম অনেক বেশি থাকায় তা কিনতে হিমশিম খেতে হতো। কিন্তু এখন সবজির দাম কমে যাওয়ায় চাহিদামতো কাঁচা বাজার কিনতে পারছি। তবে সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি জানান তিনি।

এছাড়া লেয়ার মুরগির ডিম ৩০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৬০ টাকা, হাঁসের ডিম ৫০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৩০ টাকা ও পাকিস্তানি ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/এসআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।