পাহাড়ি ঢলে ডুবলো উঁচু এলাকার ধান, ভেসে গেলো ১৫ বাড়ি
ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের করচার হাওরের উঁচু এলাকার পাকা ধান ডুবে গেছে। বানের তোড়ে ভেসে গেছে ১৫টি বসতবাড়ি। শুক্রবার (১৩ মে) বিকেলে গজারিয়া রাবারড্যামের পাশের সড়কের দুটি অংশ ভেঙে এ বিপর্যয় দেখা দেয়।
শনিবার (১৪ মে) বেলা ১১টায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদি-উর-রহিম জাদিদ বসতভিটা হারানো পরিবারসহ ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের কৃষকের প্রায় আট হাজার হেক্টর জমি রয়েছে করচার হাওরে। হাওরের প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে সপ্তাহখানেক আগেই। কিন্তু উঁচু এলাকার জমির ধান এখনো রয়েই গেছে।
এসব জমিতে বিআর ২৯ জাতের ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। ফলনও ভালো ছিল। কিন্তু বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুরমা এবং চলতি নদীর পানি বাড়ায় গজারিয়া রাবারড্যামের পাশের সড়কের দুটি অংশ ভেঙে ভাদেরটেক গ্রামের আব্দুস ছাত্তার, আবুল হোসেন, ফয়জুর রহমান, আলম মিয়া, দয়াল মিয়া, তৈয়বুর মিয়া, মোহন মিয়া, শওকত আলী. মতি মিয়া, মঞ্জুর আলী, নুরুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, মুজারা খাতুন, জরিনা খাতুন ও হিবজুর রহমানের বসতবাড়ি ভেসে গেছে।
বসতভিটা হারানো আব্দুস ছাত্তার জাগো নিউজকে বলেন, অনেক কষ্ট করে ঘর তৈরি করেছিলাম। কিন্তু পাহাড়ি ঢলে আমার ঘর ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
বসতভিটা হারানো মোহন মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, চোখের পলকে সব কিছু হারিয়ে ফেললাম। এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে সেতুর ওপর অবস্থান করছি।
ফসল হারানো কৃষক সুবাহান মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, দ্রুত বেগে পানি ঢুকে করচার হাওরের উঁচু এলাকার ফসলি জমির বেশিরভাগই ডুবে গেছে। হাওরপাড়ের সলুকাবাদ, পলাশ ও গৌররং ইউনিয়নের ২৬ গ্রামের কৃষকের পাকা ধান ডুবেছে।
ফসল হারানো কৃষক লেবু মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, করচার হাওরের উঁচু এলাকার কৃষকরা ধান কাটতে শ্রমিক সংগ্রহে সহযোগিতা পেলেই নিমজ্জিত অনেক পাকা ধান কেটে আনা সম্ভব।
ইউএনও সাদি-উর-রহিম জাদিদ জাগো নিউজকে বলেন, গজারিয়া রাবারড্যামের পাশের সড়কের দুটি অংশ পানির চাপ সামলাতে না পেরে ভেঙেছে। কিছু পরিবারের বসতভিটা ভেসে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। পাকা ধান কেটে আনতেও কৃষি অফিস সহযোগিতা করছে।
লিপসন আহমেদ/এসজে/এএসএম