ভোলায় ঝড়ের কবলে বাল্কহেড ডুবি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ভোলা
প্রকাশিত: ০৩:২০ পিএম, ২১ মে ২০২২
ঝড়ের কবলে ভোলায় একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে

ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি এলাকার মেঘনা নদীতে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে এমভি তামিম-শামিম নামে একটি বালুভর্তি বাল্কহেড ডুবে গেছে। এ ঘটনায় নৌযানটিতে থাকা সবাই সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও কয়েক লাখ টাকার মালামালের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

অপরদিকে, একই সময় একই এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে এমভি হৃদয় নামে আরেকটি খালি বাল্কহেড নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মৎস্যঘাটে এসে ধাক্কা দেয়। এতে মৎস্য আড়তসহ একটি চায়ের দোকান বিধ্বস্ত হয়েছে।

শনিবার (২১ মে) সকালে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভোলায় ঝড়ের কবলে বাল্কহেড ডুবি

ডুবে যাওয়া এমভি তামিম-শামিম বাল্কহেডের মালিক ও চালক মো. জসিম উদ্দিন জানান, জিও ব্যাগের কাজে ব্যবহৃত বালু নিয়ে তুলাতুলি এলাকায় আসলে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। এতে তারা বাল্কহেডটি চরের কাছে নোঙর করেন। কিন্তু হঠাৎ ঝড়ের তাণ্ডবে নোঙর ছিঁড়ে যায়। পরে এটিকে তীরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাল্কহেডটি তীরের কাছাকাছি এসে ডুবে যায়। এসময় নৌযানটিতে থাকা চারজন স্টাফ সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।

অপর বাল্কহেড এমভি হৃদয়ের চালক মো. খোকন বলেন, বালু খালি করে যাওয়ার সময় হঠাৎ ঝড় শুরু হলে আমরা বাল্কহেড মাঝ নদীতে নোঙর করি। এসময় ঝড়ের তাণ্ডব বেড়ে গিয়ে বাল্কহেডের দড়ি ছিঁড়ে যায়। পরে আমরা তীরে নেওয়ার চেষ্টা করলে বাল্কহেডটি স্রোতের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তুলাতুলি মৎস্য ঘাটে উঠে পড়ে। এতে কয়েকটি দোকানের ক্ষতি হয়েছে।

ভোলায় ঝড়ের কবলে বাল্কহেড ডুবি

ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে আমি সদরের শিবপুর ও ধনিয়া তুলাতুলি এলাকার মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণের জিও ব্যাগের কাজের জন্য দুইটি বাল্কহেডে করে বালু নিয়ে আসি। এমভি তামিম-শামিম নামে বালু ও মালামাল ভর্তি বাল্কহেডটি ডুবে গেছে। এছাড়া হৃদয় নামে একটি কার্গো বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে আমার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

তুলাতুলি মৎস্য ঘাটে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানি মো. সবুজ বলেন, ঝড়ের সময় হঠাৎ জাহাজ এসে প্রথমে আমার চায়ের দোকানে আঘাত করে। পরে আরও তিনটি মৎস্য আড়তে আঘাত করে। এতে আমার দোকানসহ তিনটি মৎস্য আড়ত পুরো ভেঙে যায়।

ভোলায় ঝড়ের কবলে বাল্কহেড ডুবি

তিনি আরও বলেন, আমার দোকানের ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালামালের ক্ষতি হয়েছে। এতে আমার প্রায় দুই লাখ টাকা ক্ষতি হয়। এছাড়া তিনটি মৎস্য আড়তে প্রায় ছয় লাখ টাকার ক্ষয় হয়েছে।

ভোলা নৌ-বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ডুবে যাওয়া বাল্কহেড উদ্ধারের জন্য আমরা উদ্ধারকারী জাহাজ আনতে বরিশালে যোগাযোগ করছি। উদ্ধারকারী জাহাজ আসলেই বাল্কহেড উদ্ধার কাজ শুরু হবে।

জুয়েল সাহা বিকাশ/এমআরআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।