সিলেটে বইমেলার প্রথম দিনই উপচেপড়া ভিড়
সিলেট নগরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শুরু হয়েছে বইমেলা। মেলা উদ্বোধনের পরই লেখক-সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। উপচেপড়া ভিড় আর সাংস্কৃতিক আয়োজনে মুখর ছিল বইমেলার প্রথম দিন।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করা হয়। প্রথম আলো বন্ধুসভা সিলেটের উদ্যোগে ও সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় অষ্টমবারের মতো আয়োজিত বইমেলা শুরু হয় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে।
মেলার উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবি শামীম রেজা। এ পর্ব সঞ্চালন করেন প্রথম আলো সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন কুমার দাশ।
আরও পড়ুন: চমক নেই বইমেলায়, পুরোনো বইয়ের সমাহার
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, প্রথম আলো বন্ধুসভার আয়োজিত বইমেলা আট বছর ধরে সিলেটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আগামীতে আরও বড় পরিসরে নগরের সুরমা নদীর পাড়ে এ বইমেলা আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উদ্বোধনী পর্বের পর বিশিষ্ট কবি ও গবেষক মোস্তাক আহমাদ দীনকে ‘সাহিত্য সম্মাননা পদক ২০২৩’ প্রদান করা হয়। এ সময় পুরস্কৃত লেখকের হাতে সম্মাননা-স্মারক ও নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন অতিথিরা।
এরপর বিপুল শর্মার পরিচালনায় ছন্দ নৃত্যালয়ের শিল্পীদের সমবেত নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। এ পর্বে সিলেটের বিভিন্ন সংগঠন ও শিল্পীরা পরিবেশনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনের প্রথম নারী মেয়রকে সিলেটে সংবর্ধনা
এবারের মেলা উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত কবি ফজলুল হক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মিসফাক আহমদ চৌধুরীকে। মেলায় ঢাকা ও সিলেটের ২০টি প্রকাশনাসংস্থা অংশ নিয়েছে। অংশ নেওয়া প্রকাশনাসংস্থাগুলো হচ্ছে প্রথমা, কথাপ্রকাশ, অন্বেষা প্রকাশন, উৎস প্রকাশন, অ্যাডর্ন পাবলিকেশন, বাবুই, নাগরী, বাসিয়া প্রকাশনী, ঘাস প্রকাশন, পান্ডুলিপি প্রকাশন, পাপড়ি, অভ্র প্রকাশন, বুনন প্রকাশন, মাছরাঙা প্রকাশন, জসিম বুক হাউস, স্বপ্ন ’৭১, নগর, নোভা বুকস অ্যান্ড পাবলিশার্স, গাঙুড় প্রকাশন এবং শব্দকথা প্রকাশন।
প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলা চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, লেখক আড্ডাসহ নানা কর্মসূচি থাকছে এবারের বইমেলায়।
ছামির মাহমুদ/জেএস/জেআইএম