ফেনী-নোয়াখালী ফোরলেন
অবশেষে মহাসড়ক থেকে সরলো বৈদ্যুতিক খুঁটি
ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছিল ফোরলেনে প্রশস্তকরণের কাজ। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর অপসারণ হয়েছে খুঁটিগুলো। ফলে যানবাহন চালক, যাত্রী ও পথচারীদের আতঙ্ক দূর হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়ক বিভাগের আওতায় ৭৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মহিপাল থেকে নোয়াখালীর চৌমুহনী পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার এলাকায় হচ্ছে ফোরলেন সড়ক। এর মধ্যে ফেনী অংশের ১৭ কিলোমিটারের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত কাজের মেয়াদকাল বর্ধিত করা হয়। এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩০৮ কোটি টাকা।
নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং (এনডিই)। ফেনী অংশে সড়কের দুপাশে বিদ্যুতের ৯১১টি খুঁটি ছিল। খুঁটি অপসারণের জন্য সাড়ে ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রায় সবকটি সরানো হলেও জায়লস্কর এলাকার পাঁচটি খুঁটি সড়কেই থেকে যায়। এ নিয়ে ৯ মার্চ জাগোনিউজ২৪.কম-এ ‘মহাসড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি, দুর্ঘটনার শঙ্কা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে সংশ্লিষ্টদের। অবশেষে সড়ক থেকে সরি নেওয়া হয় বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো।
স্থানীয় সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘খুঁটিগুলো সরিয়ে নেওয়ায় আতঙ্ক দূর হয়েছে। সবার মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।’
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (অপারেশন) আকাশ কুসুম বড়ুয়া জাগো নিউজকে বলেন, খুঁটিগুলো সরানোর কাজ প্রক্রিয়াধীন ছিল। দুদিন আগে তৎসংলগ্ন স্থানে নতুন খুঁটিসহ লাইন স্থাপন করা হয়েছে।
এনডিইর পক্ষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তরী এন্টারপ্রাইজের পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ফোরলেন প্রকল্পের কাজ ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। বিদ্যুতের পাঁচটি খুঁটি নিয়ে বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ ও সড়ক বিভাগকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল। অবশেষে এগুলো সরিয়ে নেওয়ায় সড়কের অবশিষ্ট কাজ দ্রুত শেষ করা যাবে।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এসজে/জেআইএম