তদন্ত প্রতিবেদন

ইমাদের বাসটি ফিটনেসবিহীন, লাইসেন্স ছিল না চালকের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, ২২ মার্চ ২০২৩

মাদারীপুরের শিবচরে এক্সপ্রেসওয়েতে বাস খাদে পড়ে ১৯ জন নিহতের ঘটনায় করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে ওই দুর্ঘটনার পেছনে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।

এর মধ্যে ইমাদ পরিবহনের সেই বাসটির ফিটনেস ছিল না। সেইসঙ্গে ছিল না চালকের লাইসেন্সও। তাছাড়া বাসের বেপরোয়া গতি এবং বৃষ্টিতে মহাসড়ক পিচ্ছিল থাকাকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরা।

আরও পড়ুন: ঘুমচোখে বাস চালাচ্ছিলেন চালক, ৩৩ ঘণ্টায়ও নেননি বিশ্রাম

তিনি বলেন, ওই দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করার পাশাপাশি প্রতিটি গাড়ির ফিটনেস নিশ্চিত করা ও চালকের বৈধ লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক করাসহ ১৪টি বিষয়ে সুপারিশ করেছে কমিটি।

Madaripur.jpg

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও তদন্ত কমিটির সদস্য মো. মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, শিবচর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট জয়ন্ত সরকার শিবচর থানায় ইমাদ পরিবহন কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে একটি মামলা করেন। এখনো কেউ গ্রেফতার না হলেও মামলার তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। খুব শিগগির মামলাটি আলোর মুখ দেখবে। এছাড়া এই দুর্ঘটনায় চালক ও হেলপার মারা যাওয়ায় আইনি প্রক্রিয়ায় একটু বিলম্ব হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ইমাদ পরিবহনের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। ঘটনার কারণ ও সুপারিশ করা ১৪টি বিষয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতায় দুর্ঘটনারোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

খুলনা থেকে রাজধানী ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস রোববার (১৯ মার্চ) সকালে শিবচরের এক্সপ্রেসওয়েতে আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে ১৯ জন নিহত হন। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরাকে প্রধান করে চার সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এমআরআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।