জ্বালানি তেলে আমদানি শুল্কহার কমছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫০ পিএম, ০২ জুন ২০২৫
জ্বালানি তেলের আমদানি শুল্কহার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে/ প্রতীকী ছবি

দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত (ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল, অকটেন) তেল আমদানি করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। বর্তমানে আমদানি মূল্যের ওপর শুল্ক দেয় বিপিসি। বাড়তি এ খরচ কমাতে আমদানি শুল্কহার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এসময় তিনি এ প্রস্তাব দেন।

আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে এক শতাংশ ও পরিশোধিত জ্বালানি তেলের শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সব মিলিয়ে শুল্ক আদায় একই রকম থাকতে পারে। বিপিসির খরচে তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে আনুপাতিক হারে শুল্ক আদায় বাড়বে এবং তাতে আমদানি খরচ বাড়বে বিপিসির।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থ উপদেষ্টার বাজেট প্রস্তাবনায় বিপিসির জ্বালানি তেল আমদানি খরচ একই রকম থাকবে, তবে বেসরকারি খাতে আমদানি খরচ কমবে। বেসরকারি খাত আগে থেকেই কেনা দামে শুল্ক দেয়। তাই শুল্কহার কমায় তাদের আমদানি খরচ কমবে।

বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে জ্বালানি তেল আমদানিতে ট্যারিফ মূল্য কার্যকর আছে। বর্তমানে আমদানি মূল্য তার চেয়ে বেশি। কাস্টমস আইন অনুসারে দাম বেশি হলে কেনা দামে শুল্কায়ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু বেসরকারি খাত কেনা দামে শুল্ক দিলেও বিপিসি ট্যারিফ মূল্যের ওপর শুল্ক দিচ্ছে। এর ফলে এনবিআরের পাওনা বাড়ছে, যা বিপিসি পরিশোধ করছে না। তাই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কেনা দামে এমনভাবে শুল্কায়নের অনুরোধ করেছে, যাতে সরকারের রাজস্ব আদায় আগের মতো বা কাছাকাছি থাকে।

এনএস/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।