বিজিএমইএ

বাজেটে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ায় আনা সংশোধনী শিল্পের জন্য ভালো

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪৪ পিএম, ০২ জুন ২০২৫

বন্ড ও আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ায় যেসব সংশোধনী আনা হয়েছে তা শিল্পের জন্য ভালো হবে। তবে কিছু সুপারিশ বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক আনোয়ার হোসেন একথা জানান।

তিনি বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ কারখানার জন্য আরও যন্ত্রপাতি ও উপকরণ শুল্কমুক্ত করা দরকার। পোশাক খাতে প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখা, এইচএস কোড সহজীকরণ, সাব-কন্ট্রাক্ট, নন-বন্ড প্রতিষ্ঠানে পণ্য সরবরাহ সহজীকরণ, সার্কুলার ফ্যাশন ও রিসাইকেল পণ্যকে উৎসাহিত করতে সংশ্লিষ্ট পণ্য ও সেবা শুল্কমুক্ত করা- এগুলো শিল্পের স্বার্থে বিবেচনা করা উচিত।’

৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে অবাস্তব উচ্চাকাঙ্ক্ষা পরিহার করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুশাসন, নাগরিক সুবিধা, কর্মসংস্থান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও এলডিসি উত্তরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

প্রশাসক বলেন, ‘বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যের কথা বলা হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষ করে পোশাক শ্রমিকরা উপকৃত হবেন। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতার পরিমাণ ও উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।’

‘বিদ্যুৎখাতে ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় ১০ শতাংশ কমানোর উদ্যোগ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে শিল্পবান্ধব বলে মনে করছে বিজিএমইএ। একই সঙ্গে এলএনজি আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি এবং পেট্রোলিয়াম ও ডিজেল আমদানিতে শুল্ক হ্রাসের ফলে শিল্পের উৎপাদন ব্যয় কমে যাবে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে।’

বর্তমানে পোশাক শিল্প উচ্চ সুদহার, শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বৃদ্ধি এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কিছু সাম্প্রতিক পদক্ষেপের কারণে সংকটে রয়েছে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটাবে—যা সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে রপ্তানিনির্ভর পোশাক শিল্পকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএ কিছু সুপারিশ বাজেট প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করেছিল যা বাস্তবায়ন হয়নি। জানান এ প্রশাসক।

আইএইচও/এএসএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।