এমপিওভুক্ত শিক্ষক
আচরণবিধি করতে ডিসিদের প্রস্তাবকে ‘ভালো’ বললেন শিক্ষামন্ত্রী

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য আচরণ বিধিমালা তৈরির প্রস্তাব করেছেন জেলা প্রশাসকরা। এটিকে ‘ভালো প্রস্তাব’ উল্লেখ করে তা নিয়ে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৩’-এর প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) আলাদা করার প্রস্তাব তুলেছেন জেলা প্রশাসকরা। যেহেতু আপনারা (সাংবাদিকরা) সমন্বয়ের কথা বলছেন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের মধ্যে সমন্বয় করতে বলছেন। অনেক বেশি ভাগ করলে সেই সমন্বয়টা আরও বেশি কমতে পারে। কাজেই এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও অনেক ভাবার বিষয় রয়েছে।’
আরও পড়ুন>> নতুন পাঠ্যবইয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করা হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকরা হাওর অঞ্চলের ছুটির সময়টা পরিবর্তন করার কথা বলেছেন। এটি নিয়ে আমরা আগে থেকেই কাজ করছি। দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ভিন্ন সময়ে বন্যা হয়। অঞ্চলভিত্তিক ঋতুর ভিন্নতাও আছে। এটি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষাপঞ্জি করতে আমরা আগে থেকেই কাজ করছি।’
শিক্ষা কর্মকর্তাদের পদবি পরিবর্তনের কথাও ডিসিদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটাকে সুস্পষ্ট করে ভাগ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা করতে বলা হয়েছে। আমি মনে করি, এটি খুবই যুক্তিযুক্ত। এটা করতে পারলে বিভ্রান্তিটাও থাকবে না।’
শিক্ষাবিষয়ক একটি পূর্ণকালীন টেলিভিশন চ্যানেল চালুর দাবি জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা। বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটিও খুবই যৌক্তিক দাবি। আমরা আপাতত সংসদ টেলিভিশন ব্যবহার করি। এটি যদি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা টিভি করা যায় তবে অনেক ভালো হয়। এটি নিয়ে কাজ করা হবে।’
আরও পড়ুন>> পাঠ্যবইয়ে ভুল: অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘কারিগরিতে বয়সের বাধা তুলে দেওয়া, নবম-দশম শ্রেণিতে কারিগরি কোর্স নিয়ে আসার প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমেও আছে। আমরা ৬৪০ বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক দুটি করে ট্রেড চালু করেছি। এরইমধ্যে আমরা এসব বাস্তবায়ন করেছি বলেও জানানো হয়েছে।’
কক্সবাজারে একটি মেরিন বিশ্ববিদ্যালয় করা যায় কি না এবং প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ তৈরি করার প্রস্তাব করেছেন ডিসিরা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টেকনিক্যাল স্কুল তৈরির প্রকল্পের কাজ চলছে। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাঠ্যবই নিয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে ভুল, অসঙ্গতি পাওয়া যাবে, তা সংশোধন করা যাবে। সেখানে সবাই মতামত দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: সংসদে শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ
জেলা প্রশাসন সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা স্তরের পাঠ্যপুস্তকে ট্রাফিক আইন বা সড়ক পরিবহন আইনের গুরুত্বপূর্ণ ধারা অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। এছাড়া কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অঞ্চলভেদে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ ও প্রয়োজনে জেলাসমূহে কৃষি ডিপ্লোমা কলেজ স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।
দিনের তৃতীয় অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।
এমএইচএম/এএএইচ/এমএস