পাঠ্যবইয়ে জলবায়ু সচেতনতায় পাঠ অন্তর্ভুক্তির দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২৪ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩

শিশুদের পাঠ্যবইয়ে জলবায়ুর বিষয়টি পাঠ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। সুন্দর পৃথিবীর জন্য শিশুদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা বিষয়ে সচেতন করে গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

জলবায়ু ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশে শিশুদের জন্য এবং তাদের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী প্রচারাভিযান ‘জেনারেশন হোপ’ শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের (বিটিএস) সহযোগিতায় শিশু-যুবদের অংশগ্রহণে ‘জেনারেশন হোপ’ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়।

আয়োজকরা বলেন, ‘জেনারেশন হোপ’ সেভ দ্য চিলড্রেনের একটি বৈশ্বিক ফ্ল্যাগশিপ প্রচারাভিযান। যার উদ্দেশ্য ভেঙে পড়া সিস্টেমকে মেরামত করা। অর্থনৈতিক বৈষম্য ও জলবায়ু জরুরি সংকটের সঙ্গে জড়িত সমস্যাগুলো মোকাবিলার মাধ্যমে শিশু এবং তাদের গ্রহের যত্ন নেওয়া।

এছাড়া শিশুদের অধিকার ও কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য ন্যায্য তহবিল নিশ্চিত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৈষম্য মোকাবিলা করাও এ প্রচারাভিযানের লক্ষ্য।

তারা বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘চাইল্ড হিয়ারিং’ সেশনের মাধ্যমে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল ৪১টি দেশের সাড়ে ৫৪ হাজারের বেশি শিশুর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছে। ভবিষ্যতের জন্য শিশুদের আশা এবং এ সংকটগুলো সমাধানের জন্য কী করা দরকার সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ড. ইয়ান ফ্লাই বলেন, শিশু এবং তরুণদের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি এবং তাদের কথা বলার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার মাধ্যমে উল্লিখিত সংকটগুলো মোকাবিলা করাই সেভ দ্য চিলড্রেনের লক্ষ্য। আমরা বিশ্বাস করি ‘জেনারেশন হোপ’ এটি করার জন্য একটি ভালো মাধ্যম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদের ওপর প্রভাব তুলে ধরে জানায়, তাদের মধ্যে অনেকে রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। ষড়ঋতুর দেশে প্রকৃতি বিরূপ হয়ে উঠছে। তাপমাত্রা বেড়ে গেছে, বরফ গলছে। পানির লবণাক্ততা বেড়ে মিঠা পানির সংকট তৈরি হয়েছে। এজন্য উন্নত দেশগুলো দায়ী।

শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিজেদের সম্পৃক্ত করার কথা জানিয়ে শিশুদের পাঠ্যবইয়ে জলবায়ু বিষয়টি পাঠ হিসেবে যুক্ত করারও দাবি জানায়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা সার্বিকভাবে একটি কঠিন সময়ের মধ্যে রয়েছি। এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে শিশু-তরুণদের নিয়ে কাজ করতে হবে। তাদের ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ বিষয়ে সচেতন করতে হবে।

তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন সব মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এর ভয়াভয়তা থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।

এমএইচএম/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।