সাত্তার জুট মিলস স্কুল এখন ‘বীর প্রতীক গাজী উচ্চ বিদ্যালয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২৭ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাত্তার জুট মিলস মডেল হাই স্কুলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে এ স্কুলটি ‘বীর প্রতীক গাজী উচ্চ বিদ্যালয়’ নামে পরিচিতি পাবে। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বীর প্রতীক গোলাম দস্তগীর গাজীর নামে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়েছে।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞাঁর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, সাত্তার জুট মিলস মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গত ৬ মার্চ প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের আবেদন করেন। আবেদন বিবেচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরও (মাউশি) ইতিবাচক মনোভাব দেখায়। পরে স্কুল পরিদর্শন শেষে গত ২১ মে শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দাখিল করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

এতে আরও বলা হয়, প্রতিবেদন ও অন্যান্য নথিপত্রসহ তা আবারও মন্ত্রণালয়ে পাঠায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সম্মতি দেওয়ার পর বোর্ড নাম পরিবর্তনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।

শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের সম্মতিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার সাত্তার জুট মিলস মডেল বিদ্যালয়ের (ইআইআইএন-১১২৫০৬) নাম পরিবর্তন করে ‘বীর প্রতীক গাজী উচ্চ বিদ্যালয়’ নামকরণ করা হলো।

১৯৮০ সালে সাত্তার জুট মিলস মডেল হাই স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে এ স্কুলে শুধু পাটকলে কর্মরতদের সন্তানরা পড়ালেখা করতো। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্তানরাও সেখানে পড়ালেখার সুযোগ পান।

স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন এরশাদ সরকারের সাবেক পাটমন্ত্রী এম এ সাত্তার। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। এছাড়া তিনি এরশাদের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় চিফ হুইপ ছিলেন।

স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, জুট মিল তো বিকিকিনি হয়ে গেছে। ফলে স্কুলের জায়গা নেই। আমরা উদ্বাস্তু হয়ে যাচ্ছিলাম। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মহোদয়ের সুনজরে আমরা স্কুলটাকে টিকিয়ে রেখে এলাকার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করতে পারছি।

তিনি বলেন, এখন আমাদের স্কুলের নিজস্ব জমি আছে। চারতলা ও তিনতলা দুটি আধুনিক ভবন রয়েছে। শিক্ষা উপকরণের ব্যবস্থা করেছেন মন্ত্রী। সার্বিক দিক বিবেচনা করে গভর্নিং বডি, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মতামতের ভিত্তিতে নাম পরিবর্তনের আবেদন করেছিলাম। সেটা অনুমোদন পেয়েছি। আমরা সবাই এতে খুশি।

এএএইচ/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।