‘ক্ষমতার দ্বন্দ্বে’ আটকে গেলো একক ভর্তি পরীক্ষা

আল-আমিন হাসান আদিব
আল-আমিন হাসান আদিব আল-আমিন হাসান আদিব , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৭ এএম, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
জাগো নিউজ গ্রাফিক্স

একবার পরীক্ষায় বসলেই থাকবে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ। কমবে ভোগান্তি, খরচ ও দীর্ঘসূত্রতা। সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের অভিপ্রায়ে উঁকি দিয়েছিল দারুণ সম্ভাবনা। কিন্তু অঙ্কুরেই তা বিনষ্ট হলো। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তৈরি করা খসড়া অধ্যাদেশে সায় দিলো না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাধ্য হয়ে ‘একক ভর্তি পরীক্ষা’ চালুর চেষ্টার ইতি টানলো ইউজিসি। ফলে সাড়ে ১০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে এবারও ভোগান্তি সঙ্গী করে ভর্তি পরীক্ষা দিতে ছুটতে হবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একক ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি আটকে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির ‘ক্ষমতার দ্বন্দ্ব’। এ প্রক্রিয়া চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ হারাবে মন্ত্রণালয়। আর নিয়ন্ত্রণ বাড়বে ইউজিসির। এ কারণে অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো ইউজিসিকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন>> একক ভর্তিতে কঠোর ইউজিসি, ধোঁয়াশায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে স্নাতক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ২০২৩’-এর খসড়া চূড়ান্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায় ইউজিসি। একমাসেও সেটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। পাঠানো হয়নি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়েও। এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেদিনই একক ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না—এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।

এটা নিয়ে ইউজিসিকে কেন অধ্যাদেশ জারি করতে হবে? অধ্যাদেশের কী দরকার? এখন কি অধ্যাদেশ জারি করার সময়? তারা তো বাড়াবাড়ি করছেন। অধ্যাদেশ ছাড়া এতদিন ভর্তি করা যায়নি? গত বছরও তো ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে, এবারও হবে। কীভাবে পরীক্ষা হবে, তা নিয়ে তাদের (ইউজিসি) চেয়ে মন্ত্রণালয়ের, সরকারের মাথাব্যথা বেশি।- মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু ইউসুফ মিয়া

এর একদিন পরই ২৮ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করা ‘সম্ভব নয়’ জানিয়ে ইউজিসিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সেই চিঠি পেয়েছে ইউজিসি।

চিঠিতে যা বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোখছানা বেগমের সই করা যে চিঠিটি ইউজিসিতে পাঠানো হয়েছে, তা জাগো নিউজের হাতে এসেছে। এতে বলা হয়, ইউজিসিকে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া নির্ধারণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা। কিন্তু তা না করে ইউজিসি সরাসরি অধ্যাদেশের খসড়া পাঠিয়েছে। জাতীয় সংসদ অধিবেশন না থাকা অর্থাৎ, বিলুপ্ত থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা বিবেচনায় অধ্যাদেশ জারি করেন। বর্তমানে দেশে কোনো জরুরি অবস্থা বিদ্যমান নেই। বিধায় এক্ষেত্রে অধ্যাদেশ প্রণয়নের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।

শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও খরচ কমানো যদি আমাদের উদ্দেশ্য হয়, তবে এখনো সেটা সম্ভব। বর্তমানে ২২ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটি সাধারণ গুচ্ছ আছে। নতুন আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় চালু হচ্ছে। সেগুলো ওই গুচ্ছে যুক্ত হতে পারে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নেতৃত্বে ‘কৃষি গুচ্ছ’ রয়েছে। এখন বুয়েটের নেতৃত্বে ‘প্রকৌশল গুচ্ছ’ এবং ঢাবির নেতৃত্বে স্বায়ত্তশাসিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটি গুচ্ছ হতে পারে। চারটি গুচ্ছে পরীক্ষা হলেও ভোগান্তি অনেকাংশ কমে আসবে।- ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান

এরপরই চিঠিতে ইউজিসির ক্ষমতার বিষয়টি ইঙ্গিত করেছে মন্ত্রণালয়। ক্রমিক নম্বর ২(গ)-তে বলা হয়, খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী— কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ নামে যে কমিটি হবে, তার চেয়ারম্যান হবেন ইউজিসি চেয়ারম্যান। যিনি এরই মধ্যে বিধিবদ্ধ সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত। এ পরিপ্রেক্ষিতে তার আরেকটি কর্তৃপক্ষের প্রধানের দায়িত্ব পালন করা সমীচীন হবে না। ‘ইউজিসি আদেশ, ১৯৭৩’ বলে গঠিত বিধিবদ্ধ সংস্থার অধীনে আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আরেকটি কর্তৃপক্ষ থাকতে পারে না।

এমতাবস্থায়, উপর্যুক্ত পর্যালোচনার আলোকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটির গঠন কাঠামো, কার্যক্রম, পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি বিষয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব নির্দেশক্রমে পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।

আরও পড়ুন>> বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে ‘শর্তের প্যাঁচে’ আটকাবে শিক্ষার্থীরা

অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত না করার কারণ জানতে চাইলে ‘বিরক্তি’ প্রকাশ করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আবু ইউসুফ মিয়া। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এটা নিয়ে ইউজিসিকে কেন অধ্যাদেশ জারি করতে হবে? অধ্যাদেশের কী দরকার? এখন কি অধ্যাদেশ জারি করার সময়? তারা তো বাড়াবাড়ি করছেন। অধ্যাদেশ ছাড়া এতদিন ভর্তি করা যায়নি? গত বছরও তো ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে, এবারও হবে। কীভাবে পরীক্ষা হবে, তা নিয়ে তাদের (ইউজিসি) চেয়ে মন্ত্রণালয়ের, সরকারের মাথাব্যথা বেশি।’

গত বছর তিনটি গুচ্ছ পদ্ধতি ছিল, স্বায়ত্তশাসিত চারটি ও বুয়েট সেসব গুচ্ছে আসেনি। বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘সব হবে, সবাই আসবে। মন্ত্রীর অংশগ্রহণে তো ইউজিসির সঙ্গে আমরা এটা নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম। একক ভর্তি পরীক্ষা চালুর জন্য কোনো অধ্যাদেশের দরকার নেই। ইউজিসি একটি প্রতিষ্ঠান। তারা তাদের আইনে যা আছে, সেভাবে কাজ করবে। সবাই সবার কাজ করবে। অতিরিক্ত কোনো কিছু তো ভালো না।’



নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন উপসচিব জাগো নিউজকে বলেন, ‘অধ্যাদেশের খসড়াটা দেখে মন্ত্রণালয়ের সবাই অবাক হয়েছেন। এটা যেভাবে করা হয়েছে, তাতে ইউজিসির এককভাবে অনেক ক্ষমতার অধিকারী হবে। সেখানে মন্ত্রণালয়ের কাউকে রাখার সুযোগ নেই অজুহাতে কাউকে রাখা হয়নি। এটা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ভালোভাবে নেননি।’

আর্থিক বিষয়গুলো তদরকি নিয়েও খসড়ায় যে নিয়ম বলা হয়েছে, তা ‘উদ্ভট’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘৫৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। তাদের আবেদন প্রক্রিয়া, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, টেকনিক্যাল সহায়তা কারা দেবে, ফল প্রকাশ—সব ইউজিসিকেন্দ্রিক হয়ে যাবে। ইউজিসিতেই অফিস হবে এটার। সবমিলিয়ে বিষয়গুলোতে অতি ক্ষমতায়ন হয়ে পড়বে। এজন্য এটা এড়িয়ে ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটি (এনটিএ) করতে বলা হয়েছে। এনটিএ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান সব ধরনের ভর্তি প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ও সুচারুভাবে সম্পন্নে কাজ করবে।’

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মনোভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘তাদের মনোভাব সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। একক ভর্তি পরীক্ষা করার উদ্যোগ আমরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় হাতে নিয়েছিলাম। মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি করে খসড়া অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা হয়েছিল। সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করে জানিয়েছে, এবার অধ্যাদেশ জারি সম্ভব নয়। একই সঙ্গে আমাদের এনটিএ গঠনে নির্দেশনা দিয়েছে। সেটা করতে কিছুটা সময় লাগবে। এজন্য এবার আগের নিয়মে পরীক্ষা হবে।’

আরও পড়ুন>> জিপিএ-৫ ছেড়ে এবার ‘ত্রিভুজ’ পাওয়ার লড়াই

খসড়া অধ্যাদেশে ‘অতি ক্ষমতায়ন’-এর অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইউজিসি এখানে কিছু করবে না। সব প্রক্রিয়ার নেতৃত্বে থাকবে শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আমরা শুধু দেখভাল করবো। বলা চলে—রুটিন দায়িত্বে থাকবো। এখানে ক্ষমতায়ন বা অন্য কোনো বিষয় আছে বলে আমি মনে করি না।’

ঢাবি ও বুয়েটের ‘আপত্তি’ বড় বাধা
একক ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে প্রথম থেকেই বড় চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছুটা আপত্তি ছিল। তারা ১৯৭৩ সালে প্রণীত অধ্যাদেশের বিষয়টি সামনে এনে এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত না হতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। তাদের সঙ্গে একই মত জানিয়ে আসছিল বুয়েটও। একপর্যায়ে ইউজিসি গঠিত কমিটির সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপ-উপাচার্য (বর্তমান উপাচার্য) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি সামনে আনেন। সে অনুযায়ী খসড়া অধ্যাদেশ প্রস্তুত করা হয়।

একক ভর্তি পরীক্ষা প্রণয়ন কমিটির সভায় নিয়মিত অংশ নেওয়া দুজন উপাচার্য নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপ-উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল একক ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করতে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের বিষয়টিকে সমর্থন করেছিলেন। তবে উপাচার্য পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর হঠাৎ তিনি আরও বেঁকে বসেন। গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েও নিজের অবস্থান ঘোলাটে করেন। পাশাপাশি বুয়েটও একক ভর্তি প্রক্রিয়ায় আসতে সব সময় পিছুটান দিয়ে আসছিল।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল জাগো নিউজকে বলেন, ‘এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কাজ করছে, তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই চূড়ান্ত। আমি এখানে কিছু বলার কেউ না। আমাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা উচিতও নয়।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউজিসির একজন সদস্য জাগো নিউজকে বলেন, ‘উনি উপ-উপাচার্য থাকা অবস্থায় যে মতামত দিয়েছিলেন, উপাচার্য হওয়ার পর তা পাল্টে গেছে। এখন ভিন্ন কথা বলছেন, এটা কাম্য নয়। আসলে তারা চাইলে একক ভর্তি পরীক্ষাটা হয়ে যেত। মন্ত্রণালয় এটা ঠেকাতে পারতো না।’



ঢাবির নেতৃত্বে ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ!
ইউজিসি সূত্র বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট রাজি থাকলে তাদের নেতৃত্বে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় একক ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে একমত ছিল। সেক্ষেত্রে ঢাবির নেতৃত্বে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটি গুচ্ছ করা সম্ভব ছিল। একক ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন না করা গেলেও ঢাবি, রাবি, চবি ও জাবিকে একটি গুচ্ছে রেখে পরীক্ষা নেওয়া গেলে ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি কমে যাবে।

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও খরচ কমানো যদি আমাদের উদ্দেশ্য হয়, তবে এখনো সেটা সম্ভব। বর্তমানে ২২ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটি সাধারণ গুচ্ছ আছে। নতুন আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় চালু হচ্ছে। সেগুলো ওই গুচ্ছে যুক্ত হতে পারে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নেতৃত্বে ‘কৃষি গুচ্ছ’ রয়েছে। এখন বুয়েটের নেতৃত্বে ‘প্রকৌশল গুচ্ছ’ এবং ঢাবির নেতৃত্বে স্বায়ত্তশাসিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটি গুচ্ছ হতে পারে। চারটি গুচ্ছে পরীক্ষা হলেও ভোগান্তি অনেকাংশ কমে আসবে।’

জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইউজিসি যেটা চাইবে, সেটা আমরা মেনে চলবো। এটা আমি বলে এসেছি মিটিংয়ে। এখন স্বায়ত্তশাসিত একই ধারার যে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়, তাদের কেউ যদি না আসে, তাহলে শুধু রাজশাহী গেলে তো আর গুচ্ছ হবে না। সবাই এলে আমাদের আপত্তি নেই।’

গত ২৬ নভেম্বর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাস করেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন শিক্ষার্থী। এ পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কীভাবে এবার ভর্তি পরীক্ষা হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিলেন তারা। ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে উদগ্রীব শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

এএএইচ/এএসএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।