ভিকারুননিসা স্কুল

শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা মিলেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৩২ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকার

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে আবারও শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এবার এ অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির আজিমপুর শাখার (দিবা) জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে। বাসায় প্রাইভেট পড়ানোর নামে একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেছেন বলে লিখিত অভিযোগও জমা পড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে।

প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এজন্য শিক্ষক মুরাদ হোসেনকে অধ্যক্ষ কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরীর সই করা অফিস আদেশ থেকে এতথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এবং এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করার লক্ষ্যে আপনাকে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অধ্যক্ষ কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।’

জানতে চাইলে অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা যথাযথ নিয়ম মেনেই সব পদক্ষেপ নিয়েছি। গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে আজকের অফিস আদেশও দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে, শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারকে বরখাস্ত ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন ছাত্রীরা। বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত স্কুলটির আজিমপুর শাখা প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ভিকারুননিসা স্কুলের আজিমপুর শাখার প্রধান সাবনাজ সোনিয়া কামালের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন কয়েকজন অভিভাবক। সেখানে তারা তাদের সন্তানদের মুরাদ হোসেন যৌন হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ করে শাস্তি দাবি করা হয়। পরে সেই অভিযোগপত্র ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের কাছে পাঠানো হয়। পরদিন (৮ ফেব্রুয়ারি) অধ্যক্ষ তিন সদস্যের প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

কমিটির আহ্বায়ক আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মমতাজ বেগম। সদস্য পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম ও ইংরেজি প্রভাতী শাখার শাখাপ্রধান শামসুন আরা সুলতানা।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন অধ্যক্ষের কাছে জমা দেয়। তার ভিত্তিতেই মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারকে কয়েক দফা কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে পরিচয় দিয়ে এসএমএস করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এএএইচ/এসআর

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।