ফ্যান্টাস্টিক ফোরের দর্শকের জন্য ‘অ্যাভাটার’ চমক
চলতি সপ্তাহান্তে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ‘দ্য ফ্যানটাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপস’ দেখার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে আপনি হতে যাচ্ছেন সৌভাগ্যবানদের একজন যারা প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় দেখতে পাবেন ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’-এর ট্রেলার।
‘অ্যাভাটার’ সিরিজের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে জানানো হয়েছে, পরিচালক জেমস ক্যামেরন নির্মিত এই তৃতীয় কিস্তির ট্রেলার শুধুমাত্র প্রেক্ষাগৃহে ‘ফ্যানটাস্টিক ফোর’-এর প্রদর্শনীর আগে দেখানো হবে। অনলাইনে বা অন্য কোথাও এই ট্রেলার দেখা যাবে না।
‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ মুক্তি পাবে ১৯ ডিসেম্বর। পরবর্তী দুই কিস্তির চতুর্থ ও পঞ্চম অ্যাভাটার প্রেক্ষাগৃহে আসবে ২০২৯ সালের ২১ ডিসেম্বর এবং ২০৩১ তারিখের ১৯ ডিসেম্বর।
এই ট্রেলারটি প্রথমে একান্তভাবে সিনেমাকন দর্শকদের দেখানো হয়েছিল এপ্রিল মাসে। এতে আবারও ফিরে যাওয়া হবে পান্ডোরা নামের সেই রঙিন, মনোমুগ্ধকর জগতে। পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে দুটি নতুন নাভি গোত্রের সঙ্গে। এর একটি উইন্ড ট্রেডারস। তারা আকাশে গরম বায়ু দিয়ে উড়ন্ত বেলুন সদৃশ যান চালায়। অন্যটি ফায়ার পিপল। যারা আগুনের পশুর পিঠে চড়ে আকাশে বিচরণ করে এবং তাদের চিরশত্রু।
গল্পে দেখা যাবে এই দুটি গোষ্ঠীর তীব্র সংঘর্ষ। সেখানে একটি নাভিকে আগুনের তীরে হত্যা করা হয়।
ট্রেলারে জ্যাক সুলি (সাম ওয়ার্থিংটন) তার স্ত্রী নেটিরিকে (জো সালদানা) বলেন, ‘এইভাবে আমরা বাঁচতে পারি না… এই ঘৃণা নিয়ে আমরা বাঁচতে পারি না।’
‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’-এর কাহিনি শুরু হচ্ছে ‘দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’–এর পরপরই। সেখানে জ্যাক ও তার পরিবার পান্ডোরার জলজ গোত্র মেটকায়িনাদের সঙ্গে একত্র হয়ে রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এবার তাদের নতুন শত্রু অ্যাশ পিপল, যারা জ্যাকের নাভি গোত্র থেকে বিচ্যুত হয়ে ধর্ম ও প্রকৃতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
‘অ্যাভাটার’ ও ‘দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। প্রথমটি এখনো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয়কারী সিনেমা এবং দ্বিতীয়টি রয়েছে তৃতীয় স্থানে। যদি ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ একই ধারা বজায় রাখতে পারে তবে এটি হবে ইতিহাসের প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি যার তিনটি ছবিই ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে।
এলআইএ/এএসএম