‘যাও পাখি বলো তারে’ আমার লাইফের বেস্ট সিনেমা: মাহিয়া মাহি
দীর্ঘদিন পর চলচ্চিত্র অঙ্গনে আবারও সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। মাঝে বেশ কয়েক বছর ভাল মানের সিনেমা তৈরি না হওয়ায় হল বিমুখ ছিল মানুষ। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সিনেমা দর্শকরা গ্রহণ করেছেন। সেই পালে হাওয়া দিয়েছে গত ৭ অক্টোবর মুক্তি পাওয়া মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘যাও পাখি বলো তারে’ ছবিটি। এরই মধ্যেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে সিনেমাটি।
‘যাও পাখি বলো তারে’ একটি নিটোল প্রেমের গল্প। যেখানে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির বিপরীতে অভিনয় করেছেন নবাগত আদর আজাদ৷ মুক্তির দ্বিতীয় দিন ময়মনসিংহের ছায়াবানী সিনেমা হল দিয়েই ঢাকার বাইরে প্রচারণা শুরু করেছেন মাহি-আদরসহ কলাকুশলীরা।
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে ছায়াবানী সিনেমা হলে পরিদর্শনে আসেন ‘যাও পাখি বলো তারে’ সিনেমার টিম।

পরিদর্শনের সময় ছিলেন, পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক, নায়ক আদর আজাদ, নায়িকা মাহিয়া মাহি, মাহিয়া মাহির স্বামী রাকিব সরকার, লাইন প্রযোজক ইমদাদুল ইসলাম যিকরানসহ অন্তত ২৫ জন।
এসময় শত শত দর্শক তাদের স্বাগত জানিয়ে গ্রহণ করেন। কেউ ব্যস্ত ছিলেন মাহি-আদরের সাথে সেলফি তুলতে, আবার কেউ ব্যস্ত ছিলেন উপহার দেয়ায়। এসময় আনন্দঘন এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এ সিনেমায় মজনু চরিত্রে অভিনয় করেছেন আদর আজাদ। তিনি বলেন, আমার ভাল অভিনয়ের কৃতিত্ব কো-আর্টিস্ট ও পরিচালকের। আমি যখন জানতে পারি, মাহিয়া মাহির মত একজন কো-আর্টিস্টের সাথে কাজ করব। তখন এমনিতেই আমার কাজের আগ্রহ বেড়ে যায়। মানুষ সিনেমাটা দেখছে, এতে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। আমি চেষ্টা করব আরও ভাল কাজ করার।
লাভলী চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাহিয়া মাহি। তিনি বলেন, যাও পাখি বল তারে আমার লাইফের বেস্ট সিনেমা। আমি যখন সিনেমায় কাজ করেছি। তখন কাজ করার দিক দিয়েও আমি বেস্ট কাজ করেছি। আবার আমি যখন শুট করেছি, শুটের সময়টাতে আমি খুবই এনজয় করে কাজ করেছি। এর আগে কোন সিনেমাতে আমি এতো মাস্তি করে কাজ করিনি।

তিনি আরও বলেন, যারা আমাকে পছন্দ করে, আমার অভিনয়কে পছন্দ করে। সেই দিক থেকে আমি বলবো, তারা অবশ্যই এই সিনেমা দেখবে। দুই নম্বর কারণ হচ্ছে, আমি বলছি এটাই আমার লাইফের বেস্ট সিনেমা। আর তিন নাম্বার হচ্ছে, সিনেমার গল্পটাও অনেক ভাল।
পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক বলেন, একদিন হলো সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটি ২১ সিনেমা হলে চলছে। ইতিমধ্যেই সিনেমাটি সিনেমা হলে ও সোশাল মিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে, দর্শকরাও সিনেমাটি পজেটিভলি নিয়েছে এবং প্রশংসা করছে। আমি এর আগেও বলেছি, একজন দর্শক যদি ছবিটা দেখে তাহলে তার হৃদয় ছুয়ে যাবে। যারা সিনেমাটি দেখেছে, তাদের অনেকে বলেছে অনেক দিন পর সিনেমা দেখে কাঁদতে হয়েছে।
মঞ্জুরুল ইসলাম/এমকেআর